|
---|
নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : রবিবার দীপান্বিতা কালীপুজো। এই আলোর উৎসবের দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে শ্যামাসঙ্গীত বাজবেই। পান্নালাল ভট্টাচার্য হোন বা পরের দিকে কুমার শানু কিংবা বাবুল সুপ্রিয়-অনেকের গলাতেই শ্যামাসঙ্গীত বেশ জনপ্রিয়। ‘আমার সাধ না মিটিল’, ‘শ্যামা মা কি আমার কালো’, ‘আমায় একটু জায়গা দাও’-সহ অজস্র গান রয়েছে তাঁদের গাওয়া। এবার টলিউডের আর এক জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক তথা গায়ক রণজয় ভট্টাচার্যের গলাতেও শোনা গেল শ্যামা সঙ্গীত।
শনিবার, কালীপুজোর প্রাক্কালে মুক্তি পেয়েছে তাঁর গাওয়া প্রথম শ্যামা সঙ্গীত ‘আমার সাধ না মিটিল’। চিরাচরিত খোল-করতালের রে নয়, বরং আরও নানারকম বাদ্যযন্ত্র সহকারে একেবারে নতুন আঙ্গিকে তিনি গানটিকে শ্রোতাদের সামনে হাজির করেছেন। কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ও সুর করা এই গানটিকে নতুনভাবে বানানো সহজ নয়। শ্রোতারা কেমনভাবে নেবেন, সেই চিন্তা তো ছিলই। তবে রণজয় নিজের উপর সেই ভরসাটা রেখেছিলেন। আর তারই প্রতিফলন পাওয়া গিয়েছে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের মন্তব্যে।
গানটির মিউজিক ভিডিও টি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জয়ব্রত দাশ। জয়ব্রত সত্যজিৎ রায় টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং এখন নিজের প্রথম ফিচার ফিল্মের কাজ করছেন।
তিনি জানান শ্যামা সঙ্গীতের মিউজিক ভিডিও সচরাচর যেমন ভাবে হয় সেটাকে ভেঙে একটা নতুন আঙ্গিকে তিনি পুরো গানটা উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। এবং তার সেটাই দেখা গেছে মিউজিক ভিডিওটিতে। ২০২৩এ দাড়িয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের জীবনে ২০০ বছর আগেকার লেখা এই গানের কথাগুলো আজও কতটা প্রাসঙ্গিক সেটাই দেখাতে চেয়েছেন পরিচালক।
রণজয়ের সঙ্গে বাংলার আপামর সঙ্গীতপ্রেমীদের প্রথম পরিচয় হয় ‘সোয়েটার’ ছবির ‘প্রেমে পড়া বারণ’-এ। এরপর ‘মন কেমনের জন্মদিন’, ‘জিয়া তুই ছাড়া’র মতো একাধিক রোম্যান্টিক গান তৈরি করেছেন তিনি। সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বাংলার বহু পরিচিত এক শ্যামা সঙ্গীতকে নতুনভাবে নিয়ে আসা- এসবই শ্রোতাদের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস না থাকলে করা সম্ভব না। জয়ব্রত এর প্রথম ফিচার ফিল্ম যদিও কিছুদিনের মধ্যেই রিলিজ হবে তবে সেটি একটি ক্রাইম থ্রিলার। তার জনার থেকে এই মিউজিক ভিডিও সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের কাজেই এই মিউজিক ভিডিওটি কতটা সফল ভাবে বানাতে পারবেন সেই নিয়ে তার সংশয় ছিলই।
তবে এখন গানটি নিয়ে রনজয়ের শ্রোতা থেকে শুরু করে আপামর সঙ্গীতপ্রেমীদের আর দর্শকদের রিভিউই বলে দিচ্ছে যে, রনজয় এবং জয়ব্রত নিজের নিজের কাজে সফল।