বীরভূমের বনমালী ধীবরের “পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমি” কর্তৃক প্রদত্ত স্মারক সম্মাননা প্রাপ্তি। প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেলাবাসী

মহঃ সফিউল আলম, নতুনগতি, বীরভূম। পেশায় মৎস্য চাষী, রাজনগর মালিপাড়ার বাসিন্দা গণেশচন্দ্র ধীবরের পুত্র বনমালী ধীবর( ৩৫ )৷ ছোট থেকেই যাত্রা, নাটকের প্রতি ঝোঁক ছিল৷ সংগীত, নৃত্যর প্রতিও ছিল আগ্রহ৷ একাধিক মঞ্চে ইতিমধ্যে যাত্রায় অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে তাঁর৷ সম্প্রতি পঃবঃ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পঃবঃ যাত্রা অ্যাকাডেমি আয়োজিত যাত্রা শিল্পে নবীন প্রতিভার খোঁজে বিষয়ক অভিনয় শিক্ষণ কর্মশালায় তিনি অংশ গ্রহণ করেন৷ ১৫ দিন ব্যাপী চলে এই শিবির৷ যাত্রা তথা সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা হাজির ছিলেন সেখানে৷ শিবির শেষে অংশ গ্রহণকারীদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়৷ উক্ত শিবিরে অভিনয় সহ একাধিক বিভাগে দক্ষতার নিরিখে বনমালী ধীবর পান সাফল্যের পুরস্কার স্বরূপ স্মারক সম্মাননা৷ তাঁর এইরূপ সাফল্যে খুশি তাঁর বাড়ির লোকজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও৷ কেউ কেউ বলেন, এর মাধ্যমে তিনি জেলা তথা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করেছেন৷ তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন তাঁরা৷

    এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কলা বিভাগে তিনি উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ৷ বঙ্গীয় সংগীত পরিষদ থেকে উচ্চাঙ্গ সংগীতে বিশারদ৷ গান, নাচ এর প্রতি ছোট থেকেই আগ্রহ৷ যাত্রায় অভিনয় করা শুরু কিশোর বয়স থেকে৷ রাজনগরের বিশিষ্ট যাত্রাভিনেতা নির্দেশক কুশলানন্দ কুন্ডু ও তপন কর্মকারের নির্দেশনায় তাঁর ধীরে ধীরে যাত্রাশিল্পী রুপে সামনে এগিয়ে যাওয়া৷ বর্তমানে তিনি কীর্তনীয়া রুপে পেশাগত দিক থেকে অনেকের কাছে সুপরিচিত৷ কীর্তন শিখেছেন তাঁর বাবার কাছ থেকে৷ দাদু বর্তমানে প্রয়াত ষষ্ঠীপদ দাস( ধীবর) ছিলেন মনসামঙ্গলের মূল গায়ক৷ তাঁর কাছেও অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে৷ তাঁর এই রুপ অসাধারণ। সাফল্য ও কৃতিত্বে গর্বিত এলাকার মানুষ৷ একইভাবে গর্বিত জেলাবাসীও৷