|
---|
উজির আলী,চাঁচল : ৩০ সেপ্টেম্বর, মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লক মতিহার পুর অঞ্চলে পিএমএওয়াই এর ঘর পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রায় ৫০০ এর উপর গরীব মানুষ ঘর পাওয়ার কথা। কিন্তু ঘরের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, এমনটাই অভিযোগ ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের। ফর্ম জমা দিতে হবে শুধু মাত্র মেম্বারদের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরাসরি ফর্ম জমা নেওয়া হচ্ছে না দাবী করছেন এলাকাবাসী। ফলে সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, এই ভাবে ফর্ম জমা নেওয়ার ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যগণ নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের ঘর পাইয়ে দিতে সচেষ্ট থাকবে। মতিহার পুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ আফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, “তালিকাভুক্তদের নামের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশিত করা হয় নি বলে অনেকেই জানতে পারছেন না যে, প্রকৃত কোন কোন ব্যক্তিদের নাম রয়েছে তালিকায়। ফলে সাধারণ মানুষ নাম রেজিস্ট্রেশন করা থেকে বঞ্চিত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সোমবার ওই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেকেই ঘরের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করতে আসলে ঘুরে যেতে হয় তাদের, দাবী করছেন তালিকাভুক্তরা। কারণ, পঞ্চায়েত দপ্তর এদিনছিল শুনশান। শুধু মাত্র একজন পঞ্চায়েত কর্মী ছাড়া আর কোনো পঞ্চায়েত কর্মীর দেখা মেলেনি, এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। এবিষয়ে মতিহার পুর অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হারুন অল রসিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলার গরীব মানুষদের জন্য ২০১৯-২০ বর্ষে প্রায় ৫ লক্ষ ঘর তৈরী করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। প্রকৃত ব্যক্তিরা যেন ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। তালিকাভুক্ত সকল ব্যক্তি যেন ফর্ম জমা দিতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে প্রধানকে।”
তিনি আরো বলেন যে, “শুধু মাত্র মেম্বারদের মাধ্যমে ফর্ম জমা নেওয়ার ফলে স্বজন পোষনের আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
পঞ্চায়েত প্রধান পপি দাস বলেন, টানা বৃষ্টিতে এলাকায় দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছে। এদিন এলাকায় সার্ভে করতে বেরিয়ছিলেন কর্মীরা। আবাস যোজনার রেজিঃ মেম্বারদের দ্বারাও হয় আবার সাধারণ কোনো ব্যক্তি নিজে আসলে তা করিয়ে নিয়ে যান। এতে কোনো বাধা বিপত্তি নেয় পঞ্চায়েত অফিসে।