বাংলা ব্যান্ড ক্যাকটাস ও কুইজ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে মায়াচরে ত্রাণ বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র ও ক্যাকটাস ব্যান্ডের উদ্যোগে সোমবার যৌথ ভাবে ত্রাণ বিলি হলো মায়াচর দ্বীপে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও ভরা কোটালের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র এবং নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলি ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে নিজেদের সধ্যমতো ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।

    সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার অন্তর্গত মায়াচর নদী দ্বীপে শতাধিক পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ও দুটি পরিবারকে বিশেষ ভাবে আর্থিক সাহায্য করা হয়।এদিন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের ত্রাণকার্যে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড ক্যাকটাস এর দুই জনপ্রিয় গায়ক সিধু ,পটা, মিউজিশিয়ান অর্ণবসহ অন্যান্যরা। কুইজ কেন্দ্রের ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর গায়ক সিধু মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে বিপর্যস্ত এলাকার মানুষের পাশে থাকার জন্য, তিনি ও তাঁর ব্যান্ড গত কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি লাইভ কনসার্ট করেছিলেন ফান্ড রাইজিং এর জন্য । এদিন বাংলা ব্যান্ড ক্যাকটাস তার দলবল নিয়ে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাথে যৌথভাবে মায়াচরের বেশ কিছুটা অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং শতাধিক পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়। এদিন ত্রাণসামগ্রীতে দেওয়া হয় ন্যাপকিন, স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান, শাড়ি, আলু, পেঁয়াজ, লবন, সয়াবিন, চাল, ডাল, তেল, চা, দুধ, বিস্কুট, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়া, ছোলা, মুড়িসহ অন্যান্য দ্রবাদি । সোসাইটির উদ্যোগে এই ত্রাণ শিবিরের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড.মৌসম মজুমদার সহ অন্যান্য সদস্য ও সদস্যাগণ।কুইজ কেন্দ্রের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া বলেন ” বিগত বছরে আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমরা মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সদস্যরা মায়াচরের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এবারের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবে, নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার দুর্গত মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হল। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইতিপূর্বে এই কর্মসূচি হয়েছে। আগামী দিনেও জনহিতকর কর্মসূচি গৃহীত হবে সংস্থার পক্ষ থেকে।”