সরকারি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সর্বত্রই ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বাতাবরণ

শরীফুল ইসলাম, নতুন গতি, শান্তিপুর:মুখে ধর্ম কথা বলার লোক বা দল অনেকেই আছে। তবে ধর্ম পালন এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্য অপেক্ষা অনেক বেশি এগিয়ে।

    শনিবার দশটার পরই পঞ্চমী তিথির সূচনায় পশ্চিম বঙ্গ সরকার পোষীত স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরে ও পাড়ায় পাড়ায় ক্লাব সংস্থায় বাগদেবী আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন প্রায় সমগ্র বঙ্গবাসী।

    কাল থেকেই কচি কাঁচা , কিশোর কিশোরী সকাল সকাল নতুন পোশাকে স্কুল কলেজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সামনে জীবন গড়ার প্রথম পরীক্ষা। আবার উচ্চমাধ্যমিক। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারাদের আবেগে একটু সংযত ভাব।

    তবে আগে পরে ‘প্রোপোস ডে’, ‘রোজ ডে’ আবার ‘ভ্যালেন্টাইন্স-ডে’ থাকায় কিশোর-যুবক দের পাশাপাশি, কাঁচা হলুদজমি লাল পাড় শাড়ি অথবা ঘিয়ে চক চকে জমি আর লাল রঙের চওড়া পাড়ে বা লাল-নীল-বেগুনি রঙিন সালোয়ারে কিশোরী-যুবতী বঙ্গনারী আজ একটু অন্য মেজাজে।

    বাঙালী মাত্রেই পার্বন প্রিয়। কথাতেই আছে, বারো মাসে তেরো পার্বন। পার্বণের এই বারোমাস‍্যায় প্রতিটি পার্বনই এক একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে। এবং সব পার্বনই কার্যত উৎসবের চেহারা নেয়।

    এবছর থেকে নতুন করে শুরু হলো শান্তিপুর পোস্ট অফিসে বাগদেবী বন্দনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী বেনু চক্রবর্তী দেখতে এসেছেন। তাঁর কথায়, ষোল বছর পর এবছর নতুন করে আবার শুরু হলো সরস্বতী পূজা। তবে , প্রতিমা আগে অফিসের বাইরে থেকে দেখতে পেতাম। এবছর একেবারে অফিসের মধ্যে পূজো হচ্ছে মায়ের। তাই ভিতরে এলাম দেখতে। পোস্ট অফিসে চিঠি পোস্ট করতে ঢুকেছিলেন প্রতিবেদক। তাই তারও দেখা হয়ে গেল কি সুন্দর সরকারি অফিসে পোস্ট মাস্টারের সামনেই বাগদেবী বন্দনা।

    শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের পুজো আজ কত বছরের সে কথা বড় নয়। তবে সুন্দর মনোরম পরিবেশে আলোকের ঝর্ণাধারায় মাতৃ বন্দনায় স্কুলের ছাত্র,শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী সকলেই।

    শান্তিপুর পাঠচক্র ক্লাবের পুজোর প্রতিমার আকর্ষণ বরাবরই একটু অন্যরকম। এখানকার সরস্বতী দুরকম, এক দর্শনের , দুই পুজোর। জানালেন নিজের হাতে দেবী গড়িয়ে ক্লাবের প্রবীণ সদস্য নিমাই বাবু। পুজোর পরের দিন ক্লাব কক্ষে বসে আলুরদম আর গরম লুচি জিভে জল আনে।

    শান্তিপুরের স্কুল-কলেজ , ক্লাব সরকারি দফতর সব মিলিয়ে প্রায় গোটা ষাটটিরও বেশি জায়গায় বাগ দেবীর আরাধনায় ব্রতী হন পড়ুয়া-চাকুরীজীবি বিভিন্ন পেশার শান্তিপুরবাসী।

    অফিস-কাছারি, ক্লাব সহ বিভিন্ন সংস্থায় পূজিতা প্রতিমা দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে বড় ভালো লাগে। মনে হয়,
    ভোগীর রাজ্যে নামাজ বার্ত্য
    ধর্মীয় সহিষ্ণুতায় বঙ্গ আনন্দিত।