কাউন্সিলার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা

মালদা ৬ আগস্ট। কাউন্সিলার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুরাতন মালদা পুরসভার অন্তর্গত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চা কলোনি এলাকার বাসিন্দারা। জানায়ায় এক মাস ধরে দূষিত নোংরা আবর্জনা জলে হাবুডুবু খাচ্ছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি, ৭ দিনের মধ্যে যদি তাদের নিকাশি ব্যবস্থা না ঠিকঠাক করা হয় তাহলে তারা পথে নামতে বাধ্য হবেন।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাপ্পি মাছ ছাড়া থেকে শুরু করে গম্ভীরা গানের মাধ্যমেও চলছে ডেঙ্গু সচেতনতা অভিযান। মৎরাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে কার্যত বুড়ো আংগুল দেখিয়ে বিগত এক মাস ধরে নোংরা জলে আবদ্ধ পুরাতন মালদা পৌরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চা কলোনির বাসিন্দারা। বদ্ধ এই নোংরা জল থেকে লাভা প্রজনন করতে শুরু করেছে। পুরাতন মালদা পৌরসভাকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাচ্চা কলোনির বাসিন্দারা। তারা জানান, ডেঙ্গু মোকাবেলায় একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুরাতন মালদা পৌরসভাও। কিন্তু গত একমাস ধরে যে তারা বদ্ধ জলে আবদ্ধ সেই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না পৌরসভা। ফলে বন্ধ এই নোংরা জল থেকে মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে।১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিরোধী কাউন্সিলর সুজন সাহা জানান, তার ওয়ার্ড বিরোধী দলের থাকায় এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে সাধারন মানুষজন। তবে তার ওয়ার্ডের নাগরিকদের কথা পৌরসভার পৌর প্রধান যদি চিন্তা না করে তবে আগামী দিনের নাগরিকদের নিয়ে সে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। কারণ গত সোমবার বিওসি মিটিংয়ে এই জল নিকাশির প্রশ্ন তোলা হলে তিনি এড়িয়ে যান।এই বিষয়ে পুরাতন মালদার পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, ওইখানে একটি ড্রেনের কাজ শুরু হবে। ওই কারণেই ওইখানে জল জমেছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।