ইস্তফা দিলেন এন‌আরএস হাসপাতালের সুপার ও প্রিন্সিপাল

  1. জাকির হোসেন সেখ, ১৩জুন, নতুন গতি, কলকাতা: সোমবার গভীর রাতে এনআরএস হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর রোগীর আত্মীয়রা কার্যত তাণ্ডব চালিয়ে মারধর করেছিলেন একাধিক চিকিৎসককে। গুরুতর জখম হয়েছিলেন ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে ধর্ণায় বসেন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার ও ছাত্ররা। তিনদিন কেটে যাওয়ার পর আজ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎকদের দুপুর ২ টোর মধ্যে কাজে ফিরে বিকেল ৪টের মধ্যে পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে বক্তব্যকে জুনিয়ার ডাক্তাররা ”হুমকি” বলেই ধরে নিয়েছিলেন। আর তার জেরেই রাজ্য জুড়ে চিকিৎসক মহলে গণ ইস্তফার দাবি ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই উল্টে অনড় জুনিয়ার ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীকেই “নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে” বলে দাবী করেন। গণ ইস্তফার ডাক দিয়ে রাজ্যপালের সাথেও দেখা করেন।
    অন্যদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ১৮ জন চিকিৎসক ইস্তফা দেয়ার পর নীলরতন সরকার হাসপাতালের সুপার প্রফেসর শৈবাল কুমার মুখোপাধ্যায় এবং ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর সৌরভ চট্টোপাধ্যায় সহ প্রায় ৮ জন সিনিয়র ডাক্তার পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এনআরএস কাণ্ডের জেরে যেমন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে, তেমনই জুনিয়ার চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ এখনও বাড়ছে বলেই জানা যাচ্ছে।

তার‌ ওপর আগুনে ঘি ঢালার মতো করে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো ডাঃ আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই
গতকাল ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কন্যা সাব্বা হাকিম
ফেসবুকে পোস্ট করায় ক্ষিপ্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকে ডাক্তার ভাইপোর কার্যকলাপ নিয়ে কি বলেন সেটাই দেখার।