জোড়হাত করে বলছি,দয়া করে কেউ হিংসা ছড়াবেন না,শেষ টুইটে ঋষির আবেদন | 

  • প্রতিমা মল্লিক,
    “An appeal Folded hands to all brothers and sisters from all social status and faiths. Please don’t resort to violence,stone throwing or lynching. Doctors,Nurses,Medics, Policemen etc..are endangering their lives to save you. We have to win this Coronavirus war together. Please. Jai Hind!”
    এই ছিল করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঋষি কাপুরের শেষ বার্তা। দোসরা এপ্রিল। ডাক্তারদের আক্রান্ত হতে হলো। লক ডাউন মানছে না জনতা। জাতীয় মিডিয়ায় এমন খবর দেখে ঠিক থাকতে পারলেন না ঋষি কাপুর। তখনো তিনি ভীষণ অসুস্থ। ক্যান্সারে শেষ পর্যায়ে। তবু সেই অবস্থা থেকেই ঋষি কাপুর সকলের উদ্দেশ্যে টুইট বার্তায় লিখলেন টুইট করলেন,

https://twitter.com/chintskap/status/1245703222783664129?s=19

    “জোড়হাত করে বলছি আমার সকল ভাই ও বোনদের, সমাজের সকলের প্রতি, যে যে মত ও ধর্মের মানুষ হোক, দয়া করে কেউ হিংসা ছড়াবেন না। পাথর মারা বা গণপিটুনিতে মেরে ফেলা বা অন্য কোন হিংসা… ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশকর্মী এরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আপনাদেরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসছেন। আমাদের এই করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হবে। প্লিজ… জয় হিন্দ।”

    ম্যায় শায়র …তো নেহি … ঋষি কি সত্যিই শ্যায়ার ছিলেন না! বলিউডের রোমান্টিক নায়ক হিসেবে ছিলেন রাজ কাপুর এবং রাজেশ খান্নার যোগ্য উত্তরসূরী। কাপুর ঘরানায় যে বিবর্তন তার অভিনয়ের ধারার মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল তাতে একটি যুগের সঙ্গে অন্য একটি যুগকে মেলানোর প্রয়াস খুঁজে পাওয়া যায় ।  শাম্মী কাপুর রাজ কাপুরের রোমান্টিক অভিনয়ের ঐতিহ্যকে মনে রেখেই আধুনিক পরিবর্তনশীল সমাজের ভাবনা-চিন্তাকে তিনি ধরতে চেয়েছিলেন। সত্তর দশক আশি দশকের উর্তি ছেলেদের মনের এবং স্টাইলের আইকন হয়ে উঠতে পেরেছিলেন ।
    একটা দশক থেকে পরবর্তী একটা দশকে যখন ঋষি অভিনয় করেছেন নিজেকে বদলে নিয়েছেন। তাই ববির ঋষি কাপুর আবার যখন জুটি বেঁধেছেন ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে ঋষি কাপুরের সেই  অভিনয় ততদিনে এসে মিশেছে সাগরে। সাগর কিনারে  লিপিং দিচ্ছেন যখন,  সেই ঋষি তখন  পরিবর্তনশীল যুব মননের সার্থক প্রতিফলন।
    ঋষি কখনোই শুধু  বলিউডের গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের একজন নিভৃত নক্ষত্র হিসেবে  নিজেকে অন্তরালে রাখতেন না  তার মৃত্যুর আগে শেষ টুইট এও তার প্রতিফলন। দোসরা এপ্রিল তিনি এই করনা ভাইরাসের আতঙ্কে, আতঙ্কিত দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন আপনারা শান্তি বজায় রাখুন ।আপনারা সবাই মিলে একজোট হয়ে এই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হোন । এই ছিলেন ঋষি। খ্যাতি গ্ল্যামার অর্থ ক্ষমতা  চূড়ান্ত শিখরে থেকেও সারা জীবন জন্ম থেকে মৃত্যু তিনি একজন মানুষের মতোই বাঁচতে চাইতেন । স্টারডম বলতে যা বোঝায় ঋষি ছিলেন তার  উজ্জ্বল এক অনন্য  নক্ষত্র । কিন্তু  উজ্জ্বলতমদের মধ্যে হারিয়ে যাননি । সকলের মধ্যে থেকেও  অনন্য করে রেখেছিলেন। ৬৭ বছর বয়সে ঋষি চলে গেলেন  ববিকে রেখে… সাগর কিনারে…
    তথ্য সৌজন্যে -বার্তা সাম্প্রতিক