বেহাল রাস্তার অবসান, মালদহের পৌড়িয়া-গালিমপুর রাস্তার শিলান্যাসে স্বয়ং জেলা সমাহর্তা

উজির আলী, নতুন গতি, চাঁচলমালদহের চাঁচল থানার পৌড়িয়া হইতে গালিমপুর যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল। এলাকাবাসী বহু দিন ধরেই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছিলেন,ঘটল তার অবসান।

    হয়েছে প্রতিবাদ,অবরোধ,রাজনৈতিক শোরগোল এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও বহুবার চিত্র ফুটে উঠেছে ওই বেহাল রাস্তার। দীর্ঘদীনের দাবীর অবসান ঘটল রবিবারের মেহেড় আলী মোড়ে অনুষ্ঠিত শিলান্যাসে।

    এদিন পৌড়িয়া হইতে নরসিংপুর (ভায়া গালিমপুর) ০৫.২৫ কিমি দৈর্ঘ্যের আনুমানিক ০৫ কোটি ১৪ লক্ষ ২০ হাজার ব্যয়ের শিলান্যাস করা হয়। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র সহ জেলাপরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল, পঃবঃ ভাইস চেয়ারপার্সনের মহিলা কমিশন মৌসম নূর ও মোয়াজ্জেম হোসেন ওই রাস্তার শিলান্যাস করেন। তার পূর্বেই ছিল আধিকারিকদের বরন পর্ব ও প্রদীপ প্রজ্জলন।

    এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান মতিহারপুর জিপির উপ প্রধান পিঙ্কি খাতুন।

    এদিন শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সেচ ও সমবায় দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, চাঁচল ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীরণ ভট্টাচার্য্য, মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায়, দুই জেলাপরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম ও বন্দনা দাস, কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খান, চাঁচল থানা পুলিশ আধিকারিক সুকুমার ঘোষ, সংখ্যালঘু সেলের জহুর আহমেদ সহ অন্যান্যরা।

     

    শিলান্যাসে খুশির আবহ এলাকাবাসী সহ ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক মঞ্চে। এই রাস্তায় দুইটি উচচ বিদ্যালয় ও দুইটি হাই মাদ্রাসা সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও দৈনিক দশ হাজার পথচারী ও কৃষি প্রধান এলাকার চাষীদের দীর্ঘদিনের আকঙ্খা পূর্ন হতে চলেছে বলে জানান জেলা সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল।