|
---|
এম এস ইসলাম,বর্ধমান : অপরাধ দমনে সঠিক পদক্ষেপ যেমন অপরাধ কমিয়ে দেয় ঠিক তেমনি সরকারের রোজগার অনেক বাড়তে পারে । তিন মাসে দের কোটি টাকার গভমেন্ট রেভিনিউ আদায় করে খণ্ডঘোষ থানার ওসি সুব্রত বেরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিভিন্ন থানায় কাজ করে সেই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রুপায়নের জন্য যেমন কড়া হাতে অপরাধ দমন করেছেন অন্যদিকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে , করোনা মোকাবেলায় রাস্তায় নেমে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থেকে প্রশংসা করিয়েছেন।সুব্রত বেরা মাধবডিহি থানার ওসি থাকার সময় করোনায় মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের কন্টেনমেন্ট জোনে রাখার সময় তাদের বাড়ির অসহায় অবস্থার কথা জেনে মুর্শিদাবাদে পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছাবার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে ও সম্প্রীতি স্থাপন করতে ইমাম পুরোহিতদের সঙ্গে ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন । কয়েকদিন হয়েছে খন্ডঘোষ থানার ওসি হয়ে এসেছেন তিনি। এসেই সিভিক ভলেন্টিয়ার ও দক্ষিণ দামোদরের সাংবাদিকদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ বেনিফিটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তার সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনের হাত দিয়ে।
এই কালী পূজায় দুস্থদের বস্ত্রদান, অর্থ সাহায্য ও ৫ হাজার জন মানুষেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন তিনি। কালীপুজোর মঞ্চে খন্ডঘোষের রত্ন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডক্টর রমজান আলি থেকে শুরু করে তরুণ গবেষক তরুণ পাল, অনুর্ধ ১৭ রাজ্যদলে খেলা মল্লিকা টুডু কে সম্মানিত করেন জেলার এস পির হাত দিয়ে। খন্ডঘোষ এলাকায় অবৈধ ও ওভারলোডিং গাড়ি আটকে সরকারি সিস্টেমে ফাইন কেটে কোটি কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে তুলে দিয়ে রাজ্যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমান এক কোটি আশি লক্ষ তে দাঁড়িয়েছে ।কোন দুস্থ অসহায় কে হয় নিজে না হলে কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত দিয়ে সাহায্য করছেন তিনি। গ্রামে চোলাই মদ ও অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে ভুলছেন না তিনি। তাম্রলিপ্ত পদক পাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদু ভীম চন্দ্র বেরার আদর্শে চলা সুব্রত বেড়া অপরের কাছ থেকে প্রশংসা শুনলে লজ্জা পান। তিনি বলেন সরকার আমাকে এই জন্যই চেয়ারে বসিয়েছেন। তিনি আরোও বলেন আমাদের বড় সাহেব অর্থাৎ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন এর সাহায্য ছাড়া এইরকম কাজ করা সম্ভব হতো না। তিনি বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, আশ্রমের মহারাজ ও পুরুতদের এবং ভালো কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধারদের নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলেছেন। স্থানীয় বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ এবং জেলাপরিষদ সদস্য অপার্থিব ইসলাম ও সি সাহেবের কাজে ভুয়সী প্রশংসা করেন এমনকি বিরোধী দলের নেতারাও ও সি সুব্রত বেরার কাজে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ।
ওসি সুব্রত বেড়ার প্রচেষ্টা গোটা খন্ডঘোষ তথা দক্ষিণ দামোদরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। একদিকে দুষ্ঠের দমন ও অন্যদিকে সৃষ্টের পালন দুই রূপে পূর্ব বর্ধমানে ও সি সুব্রত বেরাকে আলাদা রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে ।