সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের পঞ্চাশ বছর শহিদ স্মরণে ফিরহাদ হাকিম

নিজস্ব সংবাদদাতা : পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তিতে শহরের সাঁইবাড়িতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১৬ মার্চ রাজ্যের যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় নিজের সরকারকে অসভ্য-বর্বর বলে ইস্তফা দেন । প্রতিবাদে সিপিআইএম সহ বামদল গুলি ১৭ মার্চ বনধ ডাকে। বনধের সমর্থনে মিছিল হয় বর্ধমানে। তিন মাসের শিশু অমৃত সাঁইয়ের অনুষ্ঠান ছিল সাঁইবাড়িতে। মিছিল সেই রাস্তা দিয়ে পেরোনোর সময় আওয়াজ ওঠে কংগ্রেসী পরিবার সাঁইবাড়ি থেকে আক্রমণের। আগ্রাসী মানুষ মিছিল থেকে ঢুকে পড়ে সাঁইবাড়িতে। খুন হন কংগ্রেস নেতা প্রণব সাঁই, যুবক মলয় সাঁই, গৃহ শিক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায়। এই হত্যাকাণ্ডে রাজ্যের রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সাঁইবাড়িতে এসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ ববি হাকিম বলেন, কংগ্রেস সাঁইবাড়ির শহিদদের, ২১ জুলাই শহিদদের কথা ভুলে গেছে। তিনি বলেন, আমরা সাঁইবাড়ির কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। এবং ঘৃণা করে এসেছি। কলকাতার মেয়র কংগ্রেস – সিপিআইএমের জোটের নিন্দা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সব শহিদদের বরাবর মর্যাদা দিয়ে এসেছেন। এখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমত কোনো সভা করা হয় নি। তবে মন্ত্রীর আগমনে স্থানীয় মানুষের ভিড় ছিল ভালোই। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক খোকন দাশ ও কাঞ্চন কাজী প্রমুখ । বর্ধমানের এই হত্যাকাণ্ড আজ পঞ্চাশ বছর পরেও মানুষকে আবেগ বিহ্বল করে তোলে। স্থানীয় মানুষের মতে, শহরের আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস – সিপিআইএমের জোটের বিরুদ্ধে সাঁইবাড়ি একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে। যদিও করোনার ভয়াল আক্রমণের ফলে নির্বাচন কখন হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ।