স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন

সংবাদদাতা : ১২ জনুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন হয়েছিল। স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা ভাবনা বিষয়ে অসাধারণ বক্তৃতা দিলেন বেলুড় মঠের অন্তর্গত রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উপাচার্য স্বামী সর্বাত্মানন্দ। স্বামীজি সহজ- সরল ভাষায় স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা চেতনা ও দর্শনের নানামাত্রিক প্রেক্ষিত তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরলেন। এই বক্তৃতা শোনার জন্য অনলাইনে মোট ৬১০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। এদের মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রী ও গবেষকবৃন্দ। মূলত এই বক্তব্যের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানসকুমার সান্যাল। তাঁরই ভাবনা অনুসারে বক্তৃতা পর্বের মূল পরিকল্পনা রচিত হয়। তৈরি করেন একটি বিশেষ কমিটি, যার নাম হল- কমিটি ফর ওয়েবিনার এন্ড সাইন্টিফিক লেকচার সিরিজ। এই কমিটি ও আই কিউ এ সি বা ইন্টার্নাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের যৌথ উদ্যোগে এদিনের বক্তৃতার আয়োজন হয়। এ দিনের বক্তৃতা ছিল মূলত বক্তৃতা সিরিজের সূচনাপর্ব। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতার আয়োজন হবে। একইভাবে হিউম্যানিটিস ও সোশ্যাল সাইন্স বিষয়ে বক্তৃতা আয়োজনের জন্য আরেকটি কমিটি তৈরি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক পঠন-পাঠনের পাশাপাশি এই ধরনের বক্তৃতার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে আরো বেশিভাবে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিনের বক্তব্য পর্বের সূচনা করেন উপাচার্য মানসকুমার সান্যাল। তিনি উল্লেখ করেন এই ধরনের বক্তৃতা আয়োজনের উদ্দেশ্য এবং স্বামী বিবেকানন্দের সমাজের উপর প্রভাব সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরা যায়। আরো বলেন স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শের কথা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বারে বারে তুলে ধরতে হবে। ইন্টার্নাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের ডিরেক্টর অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ মুখ্য আলোচকের পরিচয় তুলে ধরেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা স্বাতী দে ও ড. নীরা সেন সরকার। স্বামীজীর জন্মদিনে এভাবেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক ও শিক্ষকবৃন্দ।