জামুড়িয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় যুব দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার : জামুড়িয়া ব্লক ২ তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে স্বামী বিবেকানন্দের ( ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২) ১৫৯তম জন্মদিবস পালন করা হয়। পালন করা জাতীয় যুব দিবস হিসাবে। উল্লেখ্য, ভারতের যুব সমাজকে স্বামীজির ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮৪ সালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবসটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে পালন করা হবে। সেই মতো ১৯৮৫ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে এই শুভ দিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে পালন করে আসছে দেশ।

    আজ জামুড়িয়া ব্লক ২ তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবসে মানবতার এই অগ্রপথিকের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য, দলীয় জেলা কমিটির সদস্য দীনেশ চক্রবর্তী, জামুড়িয়া ব্লক ২ কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি লাল্টু কাজী, মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী পলি বাগচি, চিঁচুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ সাঙ্গুই, শ্রমিক নেতা গৌর পাল, ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি জুয়েল কাজী, ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি পঞ্চানন দাশ প্রমুখ।
    মাল্যদান পর্বের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের মার্গ দর্শন আমাদের সমাজে পাথেয়। বিধায়ক বলেন, যুব সমাজের উদ্দেশ্যে যে কথা তিনি বলে গেছেন তা চিরদিনের জন্য প্রাসঙ্গিক। দলীয় সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেন। বলেন, স্বামীজির সামাজিক শিক্ষা, দেশ গঠনে তাঁর ভাবনা, সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর উদার মনোভাব আজকের দিনে অনেক বেশি জরুরি । তিনি যুব সমাজকে তাঁর আদর্শে পথ চলার আবেদন জানান। জেলা কমিটির সদস্য দীনেশ চক্রবর্তী বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিটি বাণীরই গুরুত্ব আছে । যুব সমাজের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা একই রকম আছে। সবার কাছেই তিনি শ্রদ্ধার পাত্র। জামুড়িয়া ব্লক ২ কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি লাল্টু কাজী তাঁর বক্তব্যে মহান এই চিন্তাবিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আবির্ভাব বা তিরোভাব দিবসে নয়, স্বামীজির চিন্তাধারা আমাদের প্রতিদিন কোনও না কোনও ঘটনায় স্মরণে আসে। স্বামী বিবেকানন্দ শুধুমাত্র একজন ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক। আজও তাঁর সম্প্রীতির আদর্শ ভারতবর্ষকে পথ দেখাতে পারে। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মহিলা নেত্রী পলি বাগচি, বিশ্বনাথ সাঙ্গুই, গৌর পাল, জুয়েল কাজী, পঞ্চানন দাশ প্রমুখ ।
    তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মী- সমর্থকদের ব্যাপক সংখ্যক উপস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠানে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল লক্ষ্য করার মতো। জাতীয় সড়ক সন্নিকট ব্লক কার্যালয়ে জাতীয় যুব দিবস পালনের অনুষ্ঠান স্পষ্টত উৎসবের আকার ধারণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন করেন তৃণমূল নেতা লাল্টু কাজী।