|
---|
লু তুব আলি : ৩০ মে,তিলোত্তমা কলকাতা তে বটবৃক্ষ পুঁতে বনসৃজনের বার্তা দিলেন কাঁথির শিক্ষক। ৩০ মে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে ছুটে এসে বটবৃক্ষের চারা গাছ লাগালন শিক্ষক শ্যামল জানা। জলবায়ুর পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে তিলোত্তমা কলকাতা যে একদিন সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় শ্যামল বাবু ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন । সোমবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে একটি বট বৃক্ষের চারা লাগিয়ে বার্তা দিলেন যে, একমাত্র বনসৃজন ই প্রকৃতির বিপর্যস্ত ভারসাম্য কে রক্ষা করতে পারবে। শ্যামল বাবুর বনসৃজন নিয়ে কলকাতার গতি পত্রিকাতে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় শ্যামল জানা সন্তোষ প্রকাশ করেন। শ্যামল বাবু বেতনের অর্ধেক টাকা বনসৃজন এর কাজে ব্যয় করেন। শ্যামল বাবুর ইচ্ছা একহাজার বট ও অশ্বত্থ গাছের চারা লাগানো। কারন এইসব গাছগুলি শত শত বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। পরবর্তীকালে এই গাছগুলি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিগণিত হতে পারে। কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে যে বট বৃক্ষের চারা লাগালেন তা ৫০২ টিতে পৌঁছালো। সামাজিক বনসৃজন লাগানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে জনসচেতনতা গড়ে তোলার দরকার বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, শ্যামল বাবু সারা রাজ্যব্যাপী বনসৃজন করে সংবাদের শিরোনামে আশায় তা ঐতিহ্য আধুনিকতায় সমন্বিত স্বর্ণালঙ্কার জগতের সুপরিচিত পি সি গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার বিজয় কুমার চন্দ্রের নজর কাড়ে। বিজয় বাবু শ্যামল বাবু কে তাঁর দপ্তরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এদিন বিজয় কুমার চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে একটি বটবৃক্ষের চারা তাঁর হাতে উপহার স্বরূপ তুলে দেন। স্মৃতি হিসেবে এই বটবৃক্ষের চারাটি পিসি চন্দ্র গ্রুপ পিসি চন্দ্র গার্ডেন্সে লাগাবেন বলে এই প্রতিবেদককে জানানো হয়।