শ্যামপুর আলোয় ফেরা ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

সাজ্জাদ হাসান : ভরা কোটাল আর ইয়াস ঘূর্ণি ঝড়ের জোড়া তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি, ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের বিভিন্ন গ্রাম, বিশেষ করে রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী এলাকায় যারা বসবাস করেন, বহু মানুষ গৃহহীন, এখনো বহু গ্রাম জলমগ্ন, নাকোল অঞ্চলের (শ্যামপুর দু’নম্বর ব্লক অধীনস্থ) র বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন হওয়ায় তাদের ঠাঁই হয়েছে, নাকোল হাই স্কুল এবং দেওড়া হাই স্কুল, দুটি ইস্কুলে মিলিয়ে প্রায়  ৩০০ পরিবার থাকছে, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারিভাবে, সাথে সাথে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তারাও সাধ্যমত সহযোগিতা করে চলেছে এইসব বন্যা দুর্গত এলাকায়, এইসব বন্যা বিপর্যস্ত মানুষের পাশে উল্লেখযোগ্যভাবে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো শ্যামপুর আলোয় ফেরা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট র যোদ্ধারা, এইসব এলাকা ছাড়াও শ্যামপুর থানার বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়, বিতরণ করা হয় সম্পূর্ণ কোভিদ বিধি মেনে, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন নাকোল অঞ্চলের উপপ্রধান সদানন্দ দাস, বাছরি অঞ্চলের উপপ্রধান শ্যামসুন্দর মেটিয়া, সংস্থা র সভাপতি মালিয়ার রহমান , কার্যকরী সম্পাদক মইদুল ইসলাম, সম্পাদক সাজ্জাদ হাসান, বিশিষ্ট শিক্ষক ও সংস্থা র অন্যতম সদস্য সাহাবুল আলি মল্লিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রদীপ পাল সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্য উল্লেখ্য ওই দিন প্রায় ৫০০ দুর্গত পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়, দুটি স্কুলের প্রায় ৩০০ জনকে এবং অন্যান্য গ্রামে আরো ২০০ জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়, সংস্থার সভাপতি মালিয়ার রহমান বলেন এর আগে আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি, গরীব দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করেছি, অসহায় দরিদ্র পরিবারের পাশে থেকেছি, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা র পাশে থেকেছি, এবং আজকের এই বন্যা দুর্গতদের পাশে আমাদের থাকা, আগামী দিনে আমাদের কর্মকান্ড যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তার জন্য সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে সংস্থার পক্ষ থেকে আবেদন রাখছি।