পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের ছেলে সঞ্জু বাংলার চলচ্চিত্র জগতে সম্ভাবনাময় নতুন মুখ

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের ছেলে সঞ্জু। বছর চব্বিশের এই তরতাজা যুবক এখন বাংলা সিনেমার জগতে  সম্ভাবনাময় নতুন মুখ। সম্প্রতী মুক্তি পেতে চলেছে তার নতুন সিনেসা ইস্কাবন। সঞ্জুর জীবনের উত্তরনের গল্প শুনলেন মহিউদ্দীন আহমেদ।

    তুমি তো গেঁড়াই গ্রামের ছেলে?

    সঞ্জুঃ হ্যাঁ। আমি সাধারন গ্রামের ছেলে। প্রথমে গেঁড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তারপর হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছি। এরপর মেমারীর গোলাম আহম্মদ মোর্তজা সাহেবের মামুন ন্যাশানাল স্কুল, সেখান থেকে আল আমিন মিশনের খলতপুর শাখায়..

    সিনেমায় উঠে আসা কি ভাবে..?

    সঞ্জুঃ দেখুন, স্কুল জীবন থেকেই অভিনয়ের প্রতি আমার একটা আসক্তি ছিলোই। স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নাটক, যেমন খুশি তেমন সাজো প্রভৃতি টপিক নিয়ে নাটক করেছি। মামুন ন্যাশানাল স্কুলে, আল আমিন মিশনের এ্যলোর্মনিতেও নাটক করেছি। হিন্দু মুসলামান বলে যে একটা বিভেদ তৈরীর চেষ্টা, মানুষকে মানুষের কাছ থেকে জাত পাতের দোহাই দিয়ে দূরে রাখার যে অশুভ প্রবনতা তা রোখার বার্তা দিয়ে নাটকও করেছি। তারপর পরিচালক মন্দীপ দার ( মন্দীপ সাহা) সাথে পরিচয়। তিনি আমার অভিনয় দেখেন। তখন তার ভালো লাগে।

    ইস্কাবন তোমার প্রথম সিনেমা..

    সঞ্জুঃ হ্যাঁ ইস্কাবন আমার প্রথম সিনেমা। আমার সিনেমা ইস্কাবন মুক্তি পেতে চলেছে। জঙ্গলমহলের কিছু ঘটনা, রাজনীতি, ষড়যন্ত্র, হত্যা, প্রেম, পারিবারিক ম্যাটার সব মিলিয়ে জমজমাট একটা গল্প। যেখানে ইতিহাস কেও তুলে ধরা হয়েছে। ট্রেলার চলছে। প্রায় আট লক্ষেরও বেশী ভিওয়ার্স হয়েছে। ভালোই সাড়া পাচ্ছি। যারা ইস্কাবনের ইউনিটে কাজ করেছে সেই কলাকুশলীরাও খুব খুশি।

    সিনেমার মধ্য দিয়ে কি বলতে চাইছো??

    সঞ্জুঃ দেখুন, সমাজের অনেক ঘটনা আছে। সেটা ধর্মীয় বলুন বা রাজনীতি। যা ঘটা উচিত নয়। অনেক ঘটনায় ঘটে, যেটা ন্যায় আর অন্যায় এর মধ্যে একটা ফারাক থাকে। কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় সেটা মানুষকে বলা দরকার, বোঝানো দরকার। একটা গল্প বা সিনেমার মধ্য দিয়ে আমরা মানুষকে, বলা ভালো সমাজকে সচেতন করতে চাইছি। সমাজের ভালোর জন্য ভালো কথাটা বলতে চাইছি। সমাজ যাতে শোধরাতে পারে। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে মানুষ যাতে মানুষের মধ্যে মিলেমিশে সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যাবস্হা জারি থাকে সেই বার্তাটাই আমি আমার অভিনয়ের মাধ্যমে দিতে চাইছি।

    সমাজের কোন বিষয় বেশী নাড়া দেয়?

    সঞ্জুঃ দেখুন, বেশ কিছুদিন দেখছিলাম, হিন্দু-মুসলমান নিয়ে একটা ভেদ ভাবনা মানুষের একাংশের মাথায় ঘুড়ছিলো। হিন্দু মুসলিম বলে তো কিছু হয় না। সবাই মানুষ। মানবিকতাটাই বড় কথা। এই সব হিংসা মানুষেরই তৈরী করা। আমি ভাবছি নাটক বা গল্পের থিম এটা হবে যেটা সমাজে ঘটছে, অথচ ঘটা উচিত নয়।

    বাবার কাছ থেকে অনুপ্রেরনা কেমন?

    সঞ্জুঃ বাবার জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বাবার কাছে একটা শিক্ষা পেয়েছি, কোন অবস্হাতেই ভাঙবি না। জীবনে যাই ঘটুক উঠে দাঁড়াবি। সিনেনা জগতে আসার পিছনে বাবার অনুপ্রেরনা পুরো অংশেই আছে।

    আগামী পরিকল্পনা?

    সঞ্জুঃ আগামী পরিকল্পনা বলতে আমি আরো কাজ করতে চাই। সে বিষয়ে পরিচালকদের সঙ্গে কথাও চলছে।