|
---|
মালদা, ১২ জুলাইঃ শুক্রবার মালদা জেলাজুড়ে পালিত হল ‘জল বাঁচাও দিবস’। এদিন জেলার ১৫টি ব্লকেই পদযাত্রা করা হয়। জল সংরক্ষণের বার্তা দিতে কলকাতার পদযাত্রায় হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর, এদিনই সকাল থেকে পানীয় জলের সমস্যায় পথ অবরোধ করলেন মালদহ জেলার গাজল ব্লকের রাণিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ টি গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন সকাল আটটা থেকে কৃষ্ণপুরে গাজল-বামনগোলা সড়ক অবরোধ করেন তারা। অবরোধের জেরে ওই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ একবার অবরোধ তুলেও দিয়েছিল। কিন্তু তার ঘন্টাখানেক পর থেকে ফের ওই একই জায়গায় পথ অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। রাত অবধি অবরোধ চলছেই।
গাজল ব্লকের রাণিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর, কড়চাডাঙ্গা, অলতোর সহ ছটি গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহ প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় পাম্প অপারেটর নিয়মিত পাম্প না চালানোয় পানীয় জল থেকে গ্রামবাসীরা বঞ্চিত বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত সাত দিন ধরে তারা এলাকায় সেই জল প্রকল্পের পানীয় জল পাচ্ছেন না। ফলে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে নিয়ে এসে খেতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের কাছে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে এ দিন আমাদের পথ অবরোধ করতে হয়েছে। ওই পাম্প অপারেটরের বদলি ও নিয়মিত পানীয় জল সরবরাহের দাবিতে এদিন সকাল আটটা থেকে কৃষ্ণপুর গ্রামে গাজল-বামনগোলা সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় ৬টি গ্রামের বাসিন্দারা। অবরোধের জেরে ওই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে গাজল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন। বেলা একটা নাগাদ অবরোধ উঠেও যায়। কিন্তু বেলা দুটো থেকে ফের পথ অবরোধ শুরু করেন ওই গ্রামবাসীরা। রাত অবধি অবরোধ চলছেই। গাজল থানার পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা চলছে। গাজলের বিডিও রাজীব পান্ডে জানিয়েছেন, সমস্যা মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।