স্কুলের ব্যাগটি দাও, না হলে শ্রমিকের অধিকার দাও।

নাজমুস সাহাদাত, নতুন গতি : দুর্ভাগ্যের বিষয়, বিশ্বের মধ্যে আমার দেশ ভারতেই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা সবথেকে বেশি৷ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ৬ কোটি থেকে ১২ কোটি৷ তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি, যেটা লোকচক্ষুর বাইরে থেকে যায়৷এই শিশুশ্রম সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে। দেশের মোট শিশুর সংখ্যার বিচারে প্রতি ১১টির মধ্যে ১টি শিশু শ্রমে নিযুক্ত। আর এদের মধ্যে ছেলেশিশুরা সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় নিয়োজিত রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে

    ভারতীয় সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা রয়েছে, “১৪ বছরের নীচে কোনও শিশুকে কোনও কারখানা, খনি বা কোনও বিপজ্জনক কাজে নিযুক্ত করা যাবে না।” ১৯৮৬ সালে শিশু শ্রম (রোধ ও নিয়ন্ত্রন) আইন তৈরি হয়। এই আইন বলে, ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তিদের শিশু বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আইনের লক্ষ্য শিশুদের কাজের সময় ও কাজের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা এবং কিছু বিপজ্জনক শিল্পে শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের ভবিষ্যত সমন্ধে অকিবহাল না দেশের সরকার।

    ‍২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার বিল পাস করেছে ভারত সরকার । এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী বলে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। শত শত বছর ধরে শিশু শ্রমিকের যে সমস্যায় এ দেশ জেরবার, হাজার হাজার পথশিশু ভবিষ্যত অন্ধকারে।সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। জানিনা এই সামাজিক অন্ধতার শেষ কোথায়।

    তবুও মেরা ভারত মহান আচ্ছেদিনের জয়জয়কার। বাহ রে  দেশের গনতন্ত্র।