উত্তরাধিকার থাকা সত্ত্বেও বাবার মৃত্যুর 12 বছর পরেও চাকরি পেল না ছেলে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: চাঁচলের বাসিন্দা প্রিয়ুম মন্ডলের বাবা খগেন্দ্রনাথ মন্ডল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর তিনি কর্মরত অবস্থায় মারা যান। ওই মৃত্যুজনিত কারণে উত্তরাধিকারসূত্রে চাকরির জন্য মাস ছয়েকের মধ্যেই আবেদন করেছিলেন প্রিয়ুম। কিন্তু ১২ বছর কেটে গেলেও সে চাকরি এখনো পাননি ছেলে। তার অভিযোগ, চাকরির জন্য জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ থেকে শুরু করে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে ঘুরতে ঘুরতে জুতোর সুকতলা খয়ে গেছে। কিন্তু চাকরি হয়নি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
শুধু এই প্রিয়ুম নয়, মালদা জেলায় এমন ২৯ জন প্রার্থী রয়েছেন যাদের কারো বাবা, কারও স্বামী মারা যাওয়ার পর ডাই-ইন-হারনেস কেসে চাকরির জন্য আবেদন করে বছরের পর বছর শুধু ঘুরেই চলেছেন। তবে এবারের এই ২৯ জনের চাকরিতে উদ্যোগ নিলেন মালদা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান আশিস কুন্ডু। বুধবার তিনি ২৯ জন চাকরি প্রার্থীকেই সংসদ অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন শুনানির জন্য এবং তাদের কাছ থেকে চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। এই প্রথম সংসদের কোনও চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগ নেওয়ায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই কর্মপ্রার্থীরা।

    আশিস বাবু বলেন, “এই বিষয়টি বেশ কিছুদিন আগে আমার নজরে আসে। তাদের চাকরি সংক্রান্ত সামান্য কিছু কাগজপত্র জমা করা বাকি থেকে গিয়েছিল। কিন্তু তারা সেভাবে সংসদে যোগাযোগ করছিলেন না। আমি ওই ২৯ জন কর্মপ্রার্থীকে এদিন শুনানির জন্য দপ্তরে ডেকেছিলাম। তাদের সামান্য যে সমস্ত নথি জমা করতে বাকি রয়েছে তা তাদের জানানো হয় এবং এ দিনই সেসব জমা করতে অনুরোধ করা হয়। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেওয়ার ২৪ ঘন্টা মধ্যেই আমরা তা কলকাতা রাজ্য শিক্ষা দফতর কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে দেব। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা চাকরি যেন তারা দ্রুত পায় সে চেষ্টাও করা হবে।
    কর্মপ্রার্থী আদিত্য দত্ত, মহম্মদ আলমগীরা বলেন, “আবেদন করার পর বারবার ঘুরে ন্যায্য চাকরি না পেয়ে আমরা আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এদিন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে আমরা নতুন করে আশার আলো দেখছি। চাকরি পেলে আমাদের সংসার বাজবে। চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। “