|
---|
শরীফুল ইসলাম ,নদীয়া
সুস্থ সামাজিক ভারসাম্য বজায়ে প্রান্তিক মানুষ গুলিও অপরিহার্য। নইলে, কবির ভাষায়, “পশ্চাতে রেখেছো যাঁরে , সে তোমাকে পশ্চাতে টানিবে।”
এই মহানুভ মানবিক বৃত্তের মধ্যে ‘সেতুর প্রয়াস’ তাই স্বতন্ত্র। আজ, ১২-ই জানুয়ারি দেশ জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয় স্বামীজির ১৫৬ তম জন্মজয়ন্তী।
স্বামীজীর জন্মদিন পালন সেতুর উদ্যোগ তাতে অন্য মাত্রা যোগ করে।
শহরের শেষ সীমায় কোন্দখোলা গ্রামের রাজাপুকুর মৌজা। মূলতঃ উপজাতি অধ্যুষিত এই গ্রামের মানুষ গুলি শহরের তথাকথিত পরিবেশের বাইরে থাকে। তাঁদের নিয়েই তাঁদের মতন করে বিশেষ এই দিনটি তাঁদের সঙ্গেই কাটিয়ে দিলেন সেতুর সদস্যরা।
আজ, স্বামীজীর জন্মজয়ন্তী তিথির সকালটা শুরু হয় সেতুর উদ্যোগে এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বৈচিত্রময় ট্যাবলো সহ এক পদযাত্রা।
এর পর উদ্যোক্তা সংগঠনের পরিচালনায় শুরু হয় নানা প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণ করেন ওই এলাকার আদিবাসী শিশু, কিশোর- কিশোরী। প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘বসে আঁক’ , বিস্কুট দৌড় , অংক দৌড়, মিউজিক্যাল চেয়ার- এর মতন ইভেন্ট। চলে সারাদিন।
শেষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘সেতু’র সদস্যরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও শংসা পত্র তুলে দেন।
সেতু’র সম্পাদক রুহুল্লা সেখের দাবি, শহুরের শিক্ষিত মানুষ শুধু মূল তা নয় আমরা মনে করি , এই ধরণের মূল সমাজএর বাইরেও একটি সমাজ আছে।
সেই প্রান্তিক সমাজের মানুষ গুলির মধ্যে প্রেম ভালোবাসা বিলিয়ে ,তাঁদের সেবার মধ্যেই তো আমরা পৌঁছে দিতে চাই, স্বামীজির সেই বাণী, “জীবে প্রেম করে যেই জন , সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”
টিনটিন রুহুল্লাদের কথা যে কথার কথা নয় , আজকের মতনই ইতিমধ্যে তাঁদের বেশ কয়েকটি সার্থক প্রয়াস সে দাবি করতেই পারে।