শহীদ সম্মান যাত্রা: শান্তনু ঠাকুর সহ পাঁচ বিধায়ক গ্রেফতার, তীব্র নিন্দা দিলীপের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিজেপির “শহীদ সম্মান যাত্রা” ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি। উত্তপ্ত যশোর রোড। বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত এই যাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু যাত্রার অনুমতি না থাকায় বিমানবন্দরের সামনেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপর জয়প্রকাশ মজুমদার সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মীকে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তোলে।

    পুলিশ সূত্রের বক্তব্য “সেই সময় শান্তনু ঠাকুরকে গ্রেফতার করা না হলেও তিনি নিজেই প্রিজন ভ্যানে উঠে যান। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বিমানবন্দর থানার সামনে। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শান্তনু ঠাকুর সহ বিজেপি নেতারা।”

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন “রাজ্য বিজেপির সদর দফতর ঘিরে রেখেছে পুলিস। এবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, আমি রাজ্য দফতরে ঢুকতে পারছিলাম না। ক্ষমতার অহংকারে ভুগছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গে কবে বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঐতিহাসিক কাজ করছে তৃণমূল। সংসদ মানছে না, আইন মানছে না।”

    তিনি আরো বলেন “ওরা বলছে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। বরং এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। ওরা সংসদ মানছে না, আইন মানছে না। ওখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা করছেন। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্রকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।”

    দিলীপ ঘোষের বক্তব্য সাংবাদিক বৈঠকে

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন “আমাদের নেতৃত্ব সহ প্রায় ১০০ জন মানুষকে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হল। কীসের এত ভয় রাজ্য সরকারের?”

    তিনি আরো বলেন “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট দিয়েছে। ৭৭ জন এমএলএ, ১৮ জন এমপিকে জিতিয়েছে। আমরা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। মানুষ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু এই সরকার সেটা মানতে রাজি নয়। নরেন্দ্র মোদির সফল সরকারকে আটকানোর জন্য পার্লামেন্টের কাজে বারবার বাধা দিয়েছে, কোনও কাজ হতে দেয়নি তৃণমূল।”

    সুভাষ সরকারের বক্তব্য সাংবাদিক বৈঠকে

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার বলেন “সারা ভারতেই জন আশীর্বাদ যাত্রা হচ্ছে সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ পরিস্থিতির জন্য আমরা শহিদদের সম্মানের সঙ্গে জুড়েছি। এত মানুষ নির্বাচন পরবর্তী সময় খুন হলেন। আগেও হয়েছেন। এই যাত্রাপথে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হবে। আজও যে ধরনের পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে বলছি এই প্রয়াসটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাক রাজ্য সরকার।”

    তিনি আরো বলেন “কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমার আবেদন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হোক। আমি সাথে আছি। আমি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্ত কিছুতে সাথে থাকব। কোভিড পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য যে কাজ করেছে সেই সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক ও অভিভাবক কেউই জানেন না। ১৭ মে ২০২০ থেকে ১৩টি অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে।”