|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃষ্টিকে হারিয়ে দিয়ে উজ্জ্বল শিলিগুড়ি কার্নিভাল। প্রথম তাই সমস্যা ছিল অনেক। ভুলভ্রান্তিও প্রচুর ছিল,তবুও সবাইকে হারিয়ে দিয়ে জিতে গেল শিলিগুড়ির প্রথম কার্নিভাল। একেবারে শুরুতে উদ্বোধন থেকে শুরু করে যেভাবে সাতাশটি ক্লাব একে একে এসে নিজেদের পূজোর গরিমা দেখিয়ে গেল, এককথায় অসাধারন। জেলা সভাপতি থেকে মেয়র, মেয়র থেকে ডেপুটি মেয়র সবাই যেন দায়বদ্ধ ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রতি। যদিও “ভিলেন বৃষ্টি “একবার নয় বারেবারে এসে নষ্ট করে দিয়েছে এই অনুষ্ঠানের আসল আকর্ষন, তবুও এককথায় অসাধারন অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ি। যে যে ক্লাব গুলি এসেছিলো তারাও যেন সর্বোচ্চ দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠতা বজায় রাখতে চেষ্টা করেছিলো। যে যে দ্রুপদি নৃত্য কাল শিলিগুড়ির মানুষ দেখলেন তা ভোলা যাবে না কোনদিনও। “মা দূর্গার “বিদায় বেলাতে বিষাদের মধ্যে এই কার্নিভাল যেন একটা শরতের পেজা তুলো হয়ে এসেছিলো। কাল মানুষও যেন কার্নিভালের আকর্ষনে সব কিছুকে উপেক্ষা করে বৃষ্টির মধ্যেও দাড়িয়ে দেখেছিলেন।যানযট সমস্যা,যাতায়াতের সমস্যাকে বাদ দিয়ে গতকাল শিলিগুড়ির দূর্গাপূজোর প্রথম কার্নিভাল যেন আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেল। সমালোচকদের সমালোচনাকে ওভারবাউন্ডারি করে কাল জিতল শিলিগুড়ি কার্নিভাল।আগামীবারের শিলিগুড়ি কার্নিভালের আকর্ষন যে আরো দ্বিগুন হবে তা এখন থেকেই বলতে পারা যায়। বিরুপ আবহওয়া এবং বিরুপ সমালোচনাকে সরিয়ে দিয়ে গতকালের শিলিগুড়ি কার্নিভাল ছিল সত্যি সত্যি অসাধারন। জেলা সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে আগেও প্রশংসা করেছেন সাধারন মানুষ গতকালও করলেন। মেয়র গৌতম দেব এবং ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার দুজনেই আপ্রান চেষ্টা করে যেভাবে এই কার্নিভালকে সফল করে তুললেন তার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।এক অন্য অনুভব রেখে গেল শিলিগুড়ির প্রথম কার্নিভাল মানুষের মনে।