সবুজায়ন করতে বর্ধমানের মোঃ হোসেন ৩৬ বিঘা জায়গা দিলেন।

লুতুব আলি, বর্ধমান : ১৯ আগস্ট,সবুজায়ন করতে বর্ধমানের মোঃ হোসেন ৩৬ বিঘা জায়গা দিলেন। বর্ধমানের উপকণ্ঠে বৈকন্ঠপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্যা ম রা এলাকায় ৩৬ বিঘা জমিতে সবুজায়ন করতে এগিয়ে এলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মোঃ হোসেন। ১৯ আগস্ট এই এলাকায় তালপুকুর ও স্বস্তি পুকুরে ৩৬ বিঘা জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশিথ কুমার মালিক, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা, গাছ মাস্টার নামে খ্যাত জাতীয় শিক্ষক অরূপ চৌধুরী, বৈকন্ঠপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল দাস প্রমুখ। গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে বর্ধমানের অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গাছ গ্রুপ এদিনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি রূপায়িত করেন। জমিদাতা মোঃ হোসেন একান্ত সাক্ষাৎকার জানান, ২নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় তালপুকুর অস্বস্তি পুকুর এলাকার ৩৬ বিঘা জমিতে সবুজায়ন করতে চান। তিনি বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা, জাতীয় শিক্ষক তথা গাছমাস্টার অরূপ চৌধুরী, প্রধান গোপাল দাস কে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। নিশীথ কুমার মালিক এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। কাকলি তা জানান, বজ্রপ্রবণ এলাকায় বেশি করে তালগাছ লাগানো দরকার। তিনি বি ডি এর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অরূপ চৌধুরী জানান, প্রতি রবিবার এই বিশাল এলাকায় তাঁরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করবেন। গোপাল দাস জানান, জাতীয় সড়ক হওয়ার কারণে লক্ষ লক্ষ গাছ কাটা পড়ে গেছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও চিন্তিত। তিনি বৃক্ষরোপনের উপর জোর দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্য গোপালবাবু জোর দেন। এই দিনের সবুজায়নের কর্মসূচিতে বর্ধমানের অগ্রজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গাছ গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজেশ হালদার, সুহাস সামন্ত, সুবীর দে, শেখ মিসকিন আলী, শেখ সেলিম, টুম্পা হালদার, অম্লান মজুমদার, স্বাগতা কর্মকার প্রমুখ। মোঃ হোসেন তাঁর যে বিশাল জায়গায় সবুজায়নের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এই উদ্যোগকে দিন সকলে সাধুবাদ জানান।