আর হাতে পাঁচদিন তার পরই নব মহাকরণের একটা অংশ তুলে দেওয়া হবে কলকাতা হাইকোর্টকে কারণ সেখানেও বসবে আদালত

নিজস্ব সংবাদদাতা :আর হাতে পাঁচদিন। তার পরই ২৫ অগস্ট নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং বা নব মহাকরণের একটা অংশ তুলে দেওয়া হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। কারণ সেখানেও বসবে আদালত। চলবে সওয়াল–জবাব। তাই সেখানে সবরকম ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তারই আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর হবে ২৫ অগস্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই হস্তান্তর করা হবে নব মহাকরণের বি ব্লকের ৯ তলা বিল্ডিং। এমনটাই সূত্রের খবর।বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণে যখন জায়গার অভাব দেখা দিয়েছিল তখন নব মহাকরণ ভবন বা নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে আনা হয়েছিল বেশ কিছু সরকারি দফতর। সেখানে বসতেন মন্ত্রীরাও। এবার সেখানে আদালত বসবে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরছে একাধিক দফতর। এমনকী সিটি সিভিল কোর্ট থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি কোর্ট এখানে সরে আসবে। তাই প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। এবার সেগুলিকে নিয়ে আসা হবে নব মহাকরণ ভবনে।আর কি জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যে সরকারি স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে ।রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সম্প্রতি একটি বৈঠক করে নব মহাকরণের একতলা থেকে ন’তলা পর্যন্ত থাকা দফতরগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে থাকা একাধিক দফতরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে আবাসন, ক্রীড়া, সমবায়, পর্যটন, লেবার ট্রাইব্যুনাল। এগুলিকে সম্ভবত সল্টলেকে স্থানান্তর করা হবে।উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট জমানায় রাজ্য সরকার চলত ডালহাউসির মহাকরণ থেকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় বেশ কিছু দফতরের জায়গা হচ্ছে না সেখানে। তখন বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে তৈরি করা হয় নব মহাকরণ ভবন। আর সেখানের এক থেকে সাত তলা পর্যন্ত বসতেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের কর্মীরা। এবার আদালতের কাজের জন্য সরানো হল বেশ কয়েকটি দফতর। জায়গা বাড়লে আদালতের কাজেও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।