বাড়তি দায়িত্ব কি করে সামলালেন জানালেন প্রাক্তন কাউন্সিলার শ্রাবনী দত্ত

শিলিগুড়ি: পুরভোট আসতে আর বেশী দেরী নেই।শিলিগুড়িতে ডিসেম্বরেই হয়ে যাবে পুরভোট বা জানুয়ারীর প্রথম দিকে।এই দুমাসে শিলিগুড়ির সব রাজনৈতিক দলগুলিই চাইবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে।এর মধ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সবচাইতে এগিয়ে অন্যান্য দলগুলির চাইতে।বর্তমানে গৌতম দেবের নেতৃত্বে শিলিগুড়িতে দশজনের একটি দল চালাচ্ছে গোটা শিলিগুড়িকে।যাদের মধ্যে যেমন আছেন রঞ্জন সরকার তেমনি আছেন কমল আগরওয়ালাদের মতো পোড়খাওয়া কাউন্সিলারেরা।সবচাইতে বড় এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই দশজনের দলে মাত্র একজনই মহিলা আছেন যার কথাই এখানে উঠে আসছে,তিনি হলেন শিলিগুড়ির 14নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শ্রাবনী দত্ত।যিনি বহু প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে 2015 সালে পুরভোটে জীতে ক্ষমতায় এসেছিলেন।

    তারপর পার হয়ে গেছে সাত সাতটা বছর নানান ঝড় ঝাপটা এবং আপদ বিপদের মধ্যে দিয়ে তার নিজের ওয়ার্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যার পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন গোটা শিলিগুড়ি “নারী এবং শিশুকল্যানের দায়িত্ব পেয়ে।এখন নিজের ওয়ার্ডের পাশাপাশি তার দায়িত্ব গোটা শিলিগুড়ির,তাই এখন সকাল থেকেই তিনি ব্যাসত তার নিজের কাজে।তার মধ্যেই তিনি সামলাচ্ছেন নিজের ওয়ার্ডের লোকেদের নানান ধরনের সমস্যা,তার ভাষায় এই দায়িত্ব যখন পেয়েছি চেষ্টা করবো তা পালন করবার।

    এখন আমার কাজ দশগুন বেড়ে গেছে তাই আমি জানি আমাকে ছুটে যেতে হবে মানুষের জন্য।এখন যে দায়িত্ব আমি পেয়েছি আমি নিশ্চিত সে কথা জানেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী,আমার মতো একজন সামান্য মহিলাকে যার কথায় সারা শিলিগুড়ির একটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা ভেবেই আমি গর্ব বোধ করি।আমি চেষ্টা করছি মানুষের কষ্ট লাঘব করবার।

    শ্রাবনী দত্ত আরো জানালেন আমার হাতে হয়ত দু থেকে তিনমাস আছে যার পরেই শুরু হবে পুরভোট,আমি চেষ্টা করবো ভ্যাকসিন যাতে সবাই পায় সেটা দেখবার।এই পূজোতে আমার কাছে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন তাদের প্রয়োজনে হয়ত আমি সবাইকে খুশি করতে পারি নি তবু আমি চেষ্টা করেছি কিছু করবার।এমনিতেই মিষ্টিভাষী এবং কর্মঠ বলে সুনাম আছে শ্রাবনী দত্তের।নিজের কাজে তিনি অনেকটাই সচ্ছ বলে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক মহলের কথা।কোন বিতর্কে তিনি থাকেন না বলে শিলিগুড়ির ডান বাম সবার কাছেই প্রিয় তিনি।প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য্য থেকে বিজেপীর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সবার কাছেই প্রিয় তিনি।

    জানালেন রাজনীতির বাইরেও আমার একটা নিজের জীবন আছে যে জীবনে আমি সবার সাথে চলি এখানে কোন ভেদাভেদ নেই।আমি এখন রাজনীতি করা মহিলা পাশাপাশি আমি একজন মানুষ তাই আমি সবদিক ঠিক রেখে চলতে চাই।তৃনমুলের একদা এই প্রাক্তন কাউন্সিলারের লক্ষ আগামী পুরভোটে জীতে মানুষের পাশে আরো বেশীকরে দাড়ানো।আপাতত সে লক্ষেই অবিচল তিনি।