৩ দফায় এস এস সি আন্দোলন ছাড়িয়ে গেল কৃষক আন্দোলনকে

কলকাতা: ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণারত নবম-দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত চাকুরিপ্রার্থীদের ধর্ণা অবস্হান তিন দফা মিলে আজ ৩৮৫ দিনে পড়লো; যা দিল্লীতে ৩৭৮ দিন ব্যাপী কৃষক আন্দোলনকেও অতিক্রম করেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দিল্লীতে কৃষকদের ন্যায্য দাবীকে সমর্থন জানালেন কিন্তু নিজের রাজ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েও দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের এখন ও অব্ধি কোনো সুরাহা করলেন না।

    প্রথম দফায় ডাক পাওয়া সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নাম্বার ভিত্তিক মেধাতালিকা না প্রকাশ; ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ মেধাতালিকায় সামনের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থী হয়েও পাননি নিয়োগ অথচ মেধাতালিকার পেছনের দিকে থাকা বহু প্রার্থী এমনকি ফেল করা প্রার্থীদেরও অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবৈধভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে যথাক্রমে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন;২০২১সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন;২০২১ সালের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্ণা। যা আজ ১৬৯ দিনে পড়েছে। ২০১৯ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো প্রার্থী বঞ্চিত হবে না। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে ২০১৯ সালে দেওয়া মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেও কার্যকর হয়নি। তার উপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের লাগাতার অবৈধভাবে নিয়োগ চলছে; যা শুধু আন্দোলনকারীদের বক্তব্য নয়; কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে বারবার প্রমাণিত।

    উল্লেখ্য ২০১৯ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ ও দিয়েছিলেন। কিন্তু সমাধান হয়নি সমস্যার।অবৈধভাবে ভাবে পঞ্চ প্রতিনিধিদের একাংশ সহ কিছু জনকে চাকরি দিয়ে যে আন্দোলন ভেঙে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল কমিশন তা আজ আর হলো না। মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থী এম ডি রাকিব হোসেন; তমা হোসেন; নূপুর মন্ডল জানিয়েছেন;সোনার বাংলা গড়ার কান্ডারী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অতি দ্রুত তাদের নিয়োগ করতে হবে। কারণ প্রত্যেকেই মেধাতালিকায় প্রথম দফায় ডাক পেয়েও আজ দুর্নীতির কারণে তাদের ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত।”

    বঞ্চিতরা ন্যায্য চাকরি পাক ;বুদ্ধিজীবি থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন।