মালদায় শিশুশ্রম বন্ধ করা নিয়ে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান

মালদা: করোণা সংক্রমণ স্বাভাবিক হতেই, ধীরে ধীরে শিশু শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ছে । শিশুশ্রম বন্ধ করার ক্ষেত্রে তাদের পরিবার অথবা অভিভাবকদের আর্থিক দিক দিয়ে মজবুত করা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার মালদায় শিশুশ্রম বন্ধ করা নিয়ে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে এমনভাবে মত প্রকাশ করেছেন জয়েন লেবার কমিশনার গোপাল বিশ্বাস । এদিন দুপুরে মালদা শহরের টাউন হলে সংশ্লিষ্ট দফতরের উদ্যোগে চার জেলার পুলিশ প্রশাসন ও বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের নিয়ে শিশুশ্রম রোধে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমদপ্তরের পদস্থ কর্তারা ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ সহ বিশিষ্টজনেরা।

    যদিও মালদা জেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারে নি শ্রম দপ্তর । সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, শিশুশ্রম যাচাই করা এবং তাদের সংখ্যা নির্ধারিত করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা কিভাবে সম্ভব।

    এদিন এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা শিশু শ্রম বন্ধ করতে বিভিন্ন ভাবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এদিন মালদার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ , উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শ্রম দপ্তরের কর্তারাও উপস্থিত হয়েছিলেন।

    জয়েন্ট লেবার কমিশনার গোপাল বিশ্বাস বলেন , করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিশুশ্রম একেবারেই কমে গিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতেই শিশুশ্রমের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে।

    শিশুশ্রমিকদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিবারগুলিকে আর্থিক সচ্ছলতা করা প্রয়োজন। শিশু শ্রমিক যাতে না বাড়ে সে জন্য অভিভাবকদের সচেতন করা হচ্ছে । সেইসব পরিবারগুলিকে আর্থিক দিক দিয়ে নির্ভরশীল করার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।