পরকীয়াই বাধা! শ্বাস রোধ করে স্বামীকে খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা : মুসলিম মহিলার প্রেমে পাগল ছিলেন ইউপি-র এক যুবক। বিয়ে করার জন্য ছেড়েছিলেন বাড়ি। পরিবর্তন করেছিলেন ধর্মও। বিয়ের পর সেই মহিলার হাতে খুন হতে হল তাকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দানাপুরের ফুলওয়ারি শরিফ থানা এলাকায়।

     

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুভাষ প্রজাপতি। উত্তরপ্রদেশের বাদাউনের বাসিন্দা সে। কয়েক বছর আগে বিহারের দানাপুরের বাসিন্দা আজমেরি খাতুনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সুভাষের। পরিচয় থেকে তা ভালোবাসার সম্পর্কে পরিণত হয়। আজমেরির প্রেমে পাগল হয়ে পড়েন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।কয়েকমাস আগে বিয়ে হয় তাদের। এটা ছিল আজমেরির তৃতীয় বিবাহ। দুই সন্তানও রয়েছে মহিলার। আজমেরির প্রেমে সুভাষ এতটাই পাগল ছিল যে, বিয়ের সময় ধর্মপরিবর্তন করে। সেই সঙ্গে বাদাউন ছেড়ে বিহারের দানাপুরে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করে। দানাপুরের ফুলওয়ারি শরিফ থানার পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে সুভাষ জানতে পারে আরকজন যুবকের সঙ্গে আজমেরি খাতুনের একটি সম্পর্ক রয়েছে।এরপর থেকে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। সাংসারিক অশান্তির জেরে প্রায় রাতে মদ্যপান করত সুভাষ। অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে একদিন রাতে আজমেরির সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। যুবকের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না বলে স্ত্রীকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল সে। এরপরেই সুভাষকে খুনের পরিকল্পনা মহিলা নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। সুভাষ প্রজাপতির মৃতদেহ স্থানীয় একটি মাঠ থেকে উদ্ধারের পর শুরু হয় তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শারীরিক অসুস্থতায় সুভাষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আজমেরি। কেন মাঠ থেকে দেহ উদ্ধার করা হল, তা নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে সে।এতে সন্দেহ হওয়ায় তদন্তকারীরা সুভাষের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশি জেরায় শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করে আজমেরি। আর এ ব্যাপারে তার প্রাক্তন শ্বশুর সহ আরও একজন সাহায্য করে বলে জানিয়েছে। এরপর মহিলা ও অন্য দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এদিকে, ছেলেকে খুনের ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছেন সুভাষের বাবা-মা। আজমেরিকে বিয়ে না করার জন্য বারণ করা হয়েছিল বলে জানান তারা। কিন্তু সুভাষ সেই বারণ শোনেনি বলে দাবি করেন। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন সুভাষের বাবা-মা।