স্ত্রীর সঙ্গে বাবার অন্যরকম কোনও সম্পর্ক রয়েছে, এমনই সন্দেহের বশে বাবাকে খুন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : স্ত্রীর সঙ্গে বাবার অন্যরকম কোনও সম্পর্ক রয়েছে, এমনই সন্দেহ করত ছেলে। সেজন্য বাড়িতে গোপন ক্যামেরাও লাগিয়েছিল। নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছিল না কিন্তু তা সত্ত্বেও বাবার উপর ছেলের সন্দেহ কাটছিল না। শেষমেশ সন্দেহের বশে বাবাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah Extra Marital Affair) উদয়নারায়ণপুরের বায়ড়া কুরচি গ্রামে।

    মৃতের নাম ভূতনাথ ঘোড়ুই (৫৬)। বাবা ভূতনাথকে খুন করে ছেলে বিনয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেখাশোনা করে ছেলে বিনয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ভূতনাথ। শ্বশুরের সঙ্গে বৌমার সুসম্পর্ক ছিল। আত্মীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ও বাবার সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে বিনয়ের মধ্যে। বাবার সঙ্গে স্ত্রীর অন্যরকম কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা জন্মায়। স্ত্রী শ্বশুরের ঘরে ঢুকলে বা চা দিতে গেলেও বিনয় সন্দেহ করত। বউকে নানান প্রশ্ন করত। রাতের দিকে শ্বশুর বৌমাকে ডেকে পাঠালে অশান্তি শুরু করত বিনয়। তার মনে হত, বাবার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী।

    পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই বিষয় নিয়ে বহুবার বিনয়কে তাঁরা বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল বিনয়ের সন্দেহ ততই গভীর হতে থাকে। স্ত্রী ও বাবার উপর নজর রাখতে নিজের বাইক বিক্রি করে ঘরে ক্যামেরা লাগিয়েছিল সে।

    অভিযোগ, রবিবার রাতে ভূতনাথ যখন নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় তাঁর ঘরে ঢোকে বিনয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। রক্তে ভিজে যায় বিছানা। বিছানা থেকে মাটিতে পড়ে যান ভূতনাথ। কিন্তু তারপরও বাবাকে আঘাত করতে থাকে বিনয়। প্রৌঢ় ভূতনাথের আর্তনাদ শুনে পরিবারের বাকি সদস্যরা তাঁর ঘরে ছুটে আসেন। অন্যরা ঘরের দিকে ছুটে আসছে টের পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় বিনয়। সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

    পরে বিনয়ের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ভূতনাথের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে ক্লাস থ্রির ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা, নোটিস দিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করল স্কুল ।