|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি , মেদিনীপুর:
শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ পত্র দেওয়ার পর মমতা ব্যানার্জি তার ইনার সার্কেল কে নিয়ে একটা জরুরি বৈঠক করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়বেন এটা ধরে নিয়েই মেদিনীপুরে 7ই ডিসেম্বর জনসভা করতে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জনসভার প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে দলের রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি । তিনি এদিন মেদিনীপুরের সমস্ত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি কর্মাধ্যক্ষ নিয়ে একটা সভা সারলেন । তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সভায় শুভেন্দু অনুগামী জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরি, মেন্টর প্রণব বসু, জেলা সম্পাদক সঞ্জয় পান, স্নেহাসিস ভৌমিক, জহর পাল সহ অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে মেদিনীপুর জেলা যে আড়াআড়ি বিভক্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । শুভেন্দুর গড়ে সর্বোচ্চ দলনেত্রী সভা করবেন । এর থেকে বোঝা যাচ্ছে দলে মমতা ব্যানার্জির পরে একমাত্র জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ।।অন্য কোনো নেতাকে দিকে তার গড়ে সভা করার সাহস পায় না তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এই সভা পূর্ব মেদিনীপুরে না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করতে ভয় পাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মমতা ব্যানার্জি কারো কাছে মাথা নোয়াই নি বা আত্মসমর্পণ করেনি। সে দিক থেকে দেখতে গেলে একজন মন্ত্রী বা নেতার কাছে আত্মসমর্পণ না করে নিজে এগিয়ে গিয়ে দলকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
এদিনের বৈঠকে তলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী মহাশয় জেলার ব্লক সভাপতি বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব দেরকে ভোকাল টনিক দেন যাতে করে শুভেন্দু পরবর্তী পর্যায়ে দলের কোনো ক্ষতি না হয়।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সহ অন্যান্য নেতারা