আচমকা চন্দননগরের  ব্যস্ত রাস্তার মাঝে ধস নামে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ অবশেষে শুরু হয়েছে ধস মেরামতি

নিজস্ব সংবাদদাতা : দিন চারেক আগেই আচমকা চন্দননগরের  ব্যস্ত রাস্তার মাঝে ধস নামে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। চন্দননগর পুরনিগমের পক্ষ থেকে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়। অবশেষে শুরু হয়েছে ধস মেরামতি। আর চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় ধস মেরামতি করতে গিয়েই দেখা পাওয়া গেল সুড়ঙ্গর।জানা গিয়েছে, চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় ধস মেরামতি করতে গিয়ে যে সুড়ঙ্গর দেখা পাওয়া গিয়েছে, তা আসলে ফরাসি আমলের তৈরি। মাটির নীচ দিয়ে ড্রেনেজ সিস্টেম করা হয়েছিল। ওই ড্রেনেজ সিস্টেমেরই একটা অংশ ধস কবলিত হয়েছিল। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, ১৭৬৩ থেকে ১৭৬৬ সালে চন্দননগর শহরজুড়ে এমনই নর্দমা তৈরি করা হয়। এই নর্দমাগুলি চন্দননগরের অন্যতম স্থাপত্য বলে জানাচ্ছেন ইতিহাসবিদরা। তাঁদের বক্তব্য, মাটির ওপরে যে রকম স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, মাটির নিচের স্থাপত্যগুলোও আধুনিক পদ্ধতিতে যেন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এমনই একটি নর্দমায় ধস নেমেছে।প্রসঙ্গত, চন্দননগর জোড়াঘাট অঞ্চল ও কানাইলালের মূর্তির সামনে এই ধস নামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বুধবার দুপুরে একটি বালি বোঝাই লরি যায় ওই এলাকা দিয়ে। আর তারপর বেলা বাড়তেই ওই এলাকায় ধস নামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে চন্দননগর জোড়াঘাট এলাকায় দিয়ে একটি বড় বালি বোঝাই লরি যায়। সেই সময়ই কানাইলালের মূর্তির সামনের রাস্তার উপর একটি ছোট গর্ত দেখা যায়। কিন্তু বেলা বাড়তেই সেই গর্ত বড় হয়ে আচমকা প্রায় পাঁচ ফুটের গর্ত হয়ে যায়। ব্যস্ত রাস্তার উপর ধস নামার ফলে বিপদের আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ধস নামার পরই পুলিশ গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেয় রাস্তার একাংশ। যাতে ধস নামা অংশে কেউ যাতায়াত করতে গিয়ে বিপদে না পড়ে। ধস নামার পরই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন পুরসভায়। জানা যাচ্ছে, পুর নিগমের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে গোটা বিষয়টি দেখে যান। পাশাপাশি, চন্দননগর পুর নিগমের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়। আপাতত ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।