স্বামী বিবেকানন্দকে যথাযথ সম্মান রাজ্য সরকারের তরফে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও দর্শনের একনিষ্ঠ অনুরাগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম স্বামী বিবেকানন্দের নামে রেখেছেন। বাংলার এই মহাপুরুষের স্মৃতিবিজরিত বিভিন্ন স্থানের রক্ষণাবেক্ষণও নিশ্চিত করেছেন।

    স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ প্রচারে সরকার যা যা উদ্যোগ নিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিকের পাঠ্যসুচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা।

    রামকৃষ্ণ সারদা মিশন চালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসন এর ক্ষমতা এবং বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

    শিকাগোর কলা প্রতিষ্ঠানের অনুকরণে সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সসেলেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স নির্মাণ করতে রাজ্য সরকার রামকৃষ্ণ মিশনকে ৫ একর জমি ও ১০কোটি টাকা দিয়েছে। এর নাম মুখ্যমন্ত্রী রেখেছেন ‘বিবেক তীর্থ’। শিকাগোর কলা প্রতিষ্ঠানেই ১৮৯৩ সালে স্বামীজি বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

    স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক বাড়ি ও তার সংলগ্ন অঞ্চল অধিগ্রহণ করে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে বাগবাজারে সারদা মা যে বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে।

    বাগবাজারে ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি অধিগ্রহণ করে হেরিটেজ তকমা দিয়ে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    দুই কোটি টাকা ব্যায়ে ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত দার্জিলিঙের রায় ভিলার সংস্কার করে তুলে দেওয়া হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে।

    দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ির সঙ্গে রেল স্টেশনের সংযোগকারী স্কাইওয়াক তৈরী করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই স্কাইওয়াকের নাম রেখেছেন দক্ষিণেশ্বর রানী রাশমনি স্কাইওয়াক।

    যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের নাম বদলে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন রাখা হয়েছে।

    স্বনির্ভর দপ্তরের স্বনির্ভর প্রকল্পের নাম স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প রাখা হয়েছে।

    অর্থনতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের যে বৃত্তি প্রদান করা হয়, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ।

    স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ বিবেক চেতনা উৎসব পালন করা হয়। ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়।

    দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিল পাস করা হয়েছে বিধানসভায়। ২০১৭ সালে ভগিনী নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১৯ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়।