৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলেন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা অতিমহামারী আবহের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলেন মেদিনীপুর শহরের অন্যতম বিশিষ্ট স্কুল বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ এর শিক্ষক- শিক্ষিকারা, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। এদিন সকালে পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী স্নেহময় সেনগুপ্ত মহাশয়।

     

    উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুভাষ রাউট, ধৃতব্রত সরকার এবং শিক্ষিকা অঞ্জলি চৌধুরী, সোমা চক্রবর্তী, চৈতালি ঘোষ চৌধুরী, মিতা বেরা, কাকলি সিনহা, শ্রাবণী দাস প্রমূখ। এদিন ছোট্ট এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশকিছু অভিভাবক, অভিভাবিকা বৃন্দ, সমাজসেবী এবং প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন যে, ” গতবছরের মত এবারও করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। করোনা পরিস্থিতি জন্যই ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়নি। তবে অন্যান্য বছরের মতোই বেশকিছু সমাজসেবী, অভিভাবক অভিভাবিকা উপস্থিত ছিলেন। এই বিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরাও এদিন উপস্থিত ছিল।” এদিন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা সমবেত কন্ঠে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধৃতব্রত সরকার বলেন,” প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির পর রবিবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলাম আমরা। বছরে দুবার আমার গায়ে কাঁটা দেয়। এক, স্বাধীনতা দিবসের সকালে এই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মুহূর্তে আর দুই, মহালয়ার দিন কাকভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে প্রতিধ্বনিত মহালয়ার আগমনী সুর কানে ভেসে আসার সময়। শতকোটি প্রণাম জানাই সেই সকল বীর সন্তান, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যাঁদের আত্ম বলিদানের জন্যই আজ আমাদের দেশ স্বাধীন। তাঁরা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁদের সাহসিকতা-বীরত্বের জন্যই নিজেদের দেশে মুক্ত শ্বাস নিতে পারছি আমরা ভারতবাসীরা। আমরা সত্যিই গর্বিত আমরা ভারত মায়ের সন্তান।” পরিশেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ছোট্ট এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।