|
---|
নতুন গতি, চাঁচল: ০৮ ফেব্রুয়ারি২০২১ বিধানসভাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু হল মালদহের চাঁচলে। শুক্রবার রাতে মালদহের চাঁচল থানার ঢিল ছোড়া দুরত্ব থানাপাড়ায় বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে গোলমালে উত্তপ্ত চাঁচল।
বিজেপি সমর্থিত প্রসেনজিৎ শর্মা(২৮) ও তার বাবা অমল শর্মাকে একদল তৃণমূলের দুস্কৃতি রাতের আধারে মারধর করে বলে অভিযোগ। পিতা-পুত্র বর্তমানে চাঁচল সুপাল স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা যায় চাঁচল বিধানসভার সিএ সমর্থনে প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন প্রসেনজিৎ শর্মা। গুরুতর আহত ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, বাবান পাল নামে এক যুবক তার বাড়ির সামনে মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় তাকে গালিগালাজ করছিল। প্রতিবাদ করায় চড়াও হয় মদ্যপ ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তৃণমুল ছাত্রপরিষদ তরতাজা যুব নেতা সুমিত সরকার, বাবু সরকার, অঙ্কুর পোদ্দার, পঞ্চায়েত সমিতির অমিতেষ পান্ডে সহ একদল তৃণমুল নেতা । এসেই লাঠি ও লোহার রোড দিয়ে মারধর শুরু করে বেজিপির কর্মীর উপর বলে অভিযোগ। কর্মীর বাবাকে মারধর করে তার বাড়িতে ঢোকারও চেস্টা করে তৃনমুলের দলবল বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃস্টি হয় ওই এলাকায়।
যদি ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমুলের ছাত্র প্রসিডেন্ট সুমিত সরকার। তিনি বলেন রাতে বইমেলায় আমরা ছিলাম। আমাদের কাছে ফোন আসে আমাদের দ্বিতীঋ বর্ষের দুই ছাত্র সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য্য ও বাবান কে ওরা মারধর শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই আমাদের উপর ভূজালি নিয়ে চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। এবং বাবান মন্ডলকেও তারা চোখের সামনে মারধর করে বলে দাবী তৃণমূল নেতৃত্বের। সুমিতের দাবী, বিজেপির ওই কর্মী সোশ্যাল সাইটে দলের সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য ও পোস্ট করে থাকেন। সে নিয়েও আমরা প্রতিবাদে নামব।
উত্তর মালদা বেজিপির প্রাক্তন প্রার্থী সুভাষ কৃষ্ণের দাবী, চাঁচল সদরে শাসক দলের একটা গুন্ডাবাজি বহুদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেটা শুক্রবার রাতে প্রকাশ পেল। একা পেয়ে একজন কে পিটিয়ে মারবে তা বরদাস্ত হয়না। আমরা প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি। সুবিচার না পেলে পরবর্তীতে দলীয় ভাবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে সুভাষ কষ্ণ গোস্বামী। তিনি কটাক্ষ করে আরোও বলেন, ২০২১ এ তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই তারা আক্রমন চালিয়ে কিছুটা নিজেদের দলের আওতাভুক্ত করতে চাইছেন।
সম্পূর্ন মিথ্যা ঘটনা বলে স্বীকার করেছেন চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সচীনানন্দ চক্রবর্তী। বিজেপি নিজেরাই মদ্যপ পান করে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ২০২১ এ আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্বল। যা প্রমান হচ্ছে একে একে শাসকদলে আওতাভুক্ত হচ্ছে।
পুরো ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত চাঁচলের রাজনৈতিক মহল।
শনিবার উভয়পক্ষয় চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
অভিযোগ পেয়ে এস.ডি.পি.ও সজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।