|
---|
লুতুব আলি : পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নং ব্লকের তেঁতুল মুড়ি হাই মাদ্রাসাটি মূলত আদিবাসী ও মুসলিম এলাকায় অবস্থিত। এখানকার শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রত্যন্ত এলাকার এই হাই মাদ্রাসাটিকে একটি আদর্শ মাদ্রাসা হিসেবে গড়ে তুলতে চান কিন্তু উপযুক্ত ফান্ডের অভাবে তা বাস্তবায়িত করতে হোঁচট খেতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের অবস্থার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলিকে সার্বিক রূপ দিতে বদ্ধপরিকর। তেঁতুল মুড়ি হাই মাদ্রাসা র সমস্যা নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারপার্সন, প্রাক্তন সাংসদ প্রফেসর ডাঃ মমতাজ সংঘমিতা র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তেঁতুল মুড়ি হাই মাদ্রাসার সমস্যা নিয়ে এখন ও কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। তবে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিশ্চয়ই উন্নয়নের ব্যাপারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তেঁতুল মুড়ি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা আনজুমানারা খাতুন বলেন, মাদ্রাসার নিজস্ব মাঠ আছে, মাটি ভরাট করে সংস্কার করা জরুরি। ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। পঠন-পাঠনের প্রধান অঙ্গ হচ্ছে খেলাধুলা। মাঠের অভাবে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশ ঘটছে না। করোনা র কারণে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কম্পিউটার গুলি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ছটি টিচারের পোস্ট এখনো ভ্যাকেন্ট আছে। মাদ্রাসা অথচ আরবির কোন শিক্ষক নাই। প্রয়োজনীয় ফার্নিচার অভাব। সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রধান শিক্ষিকা জানান। এই মাদ্রাসার শিক্ষক আবজেল মন্ডল বলেন, শিক্ষার্থীদের ড্রপ আউট আটকাতে আমরা এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অধিকাংশ অভিভাব ক ও ছাত্রছাত্রীরা জানেনা যে তাদের জন্মদিন কবে। এখানকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্মদিন প্রার্থনার লাইনে পালন করা হয়। তাদের চারা গাছ ফুল ও অন্যান্য শিক্ষার সামগ্রী দিয়ে তাদের বরণ করা হয়। মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে ওমর ফারুক শেখ, শ্যামাপ্রসাদ শ্যাম, পার্থ সারথি রায়, শেখ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ভাস্কর দত্ত, অপূর্ব কুমার দত্ত, শ্যামলী ভট্টাচার্য, মুন্সি মোঃ আফজল, শেখ আকবর আলী প্রমুখ রা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন