|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘুড়ি-লাটাই ডেকে আনছে বিপদ, নাইলনে ভর করে আকাশে উড়ছে ঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পূজার কয়েক মাস আগে থেকে ঘুড়ি উড়তে দেখা যায় হাওড়ার শহর অঞ্চলের আকাশে। বিশ্বকর্মা পূজোর আগে শহর অঞ্চলে ঘুড়ি ওঠার রেয়াজ এবং গ্রামাঞ্চলে পৌষ পার্বণের কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো। তবে এখন সময়ের তালে গ্রামাঞ্চলের আকাশে দেখা যাচ্ছে ঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজো প্রায় দুই মাস বাকি, এর মধ্যেই হাওড়া জেলার গ্রামাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকায় অল্প মাত্রায় ঘুড়ি উঠতে শুরু করেছে আকাশে, ধীরে ধীরে শিশুরা মেতে উঠছে ঘড়িতে। ঘুড়িই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এলাকায়, কারণ বর্তমানে ঘুড়ি উড়তে ব্যবহৃত হচ্ছে চিনা মানজা নাইলন সুতো।তাতেই বিপদের সম্মুখীন মানুষ। চীনা মাঞ্জা সুতোয় আহত হওয়ার ঘটনা জেলায় একাধিক বার সামনে এসেছে।চীনা মানজা সুতোর দৌড়াত্ব রুখতে কঠোর ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। একসময় গ্রামাঞ্চলে দেখা যেত সুতির সুতোকে বিশেষ উপায়ে আঠা ও বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে মানজা সুতোয় পরিণত করা হত।চীনা মানজা সুতোর দাপটে সুতির সুতো একেবারে নিশ্চিহ্ন। মাঞ্জা সুতোর ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন রাস্তায় গতিশীল সাইকেল ও বাইক আরোহী আহত হচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তাঘাট বা গাছে পালায় পড়ে থাকা সুতো নষ্ট হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। সেখানেই পশু পাখি আটকে প্রাণ হারাচ্ছে।ঘুড়ি ওড়ানোর মরশুমের আগে থেকেই, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দোকানে ঘুড়ি ও নাইলন সুতোর মজুত। আবারো নাইলন সুতোয় ভর করে ঘুড়ি উড়ছে আকাশে, তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের।