রাস্তা বেহাল, হুঁশ নেই প্রশাসনের

মহম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: সংস্কারের অভাবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কঙ্কালসার অবস্থায় পরে রয়েছে চাঁচল- ১ নং ব্লকের ওলিহন্ডা জিপির কনুয়া থেকে দেবীগঞ্জ গামী প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা।গোটা রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বর্ষণে ওই সব গর্তে জল জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যাতায়াত করাই দুষ্কর।

    প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কমবেশী তিন হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। চলে অংসখ্য ট্রেকার, বাইক ও ভুটভুটি সহ নানা ধরনের যানবাহন।খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে হাসমেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।

    স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার আলি ও তফজল হোসেনরা অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদ এমনকী পূর্ত দফতরের কোনও হেলদোল নেই।অথচ এই রাস্তার ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়। প্রতিদিন তাই এই রাস্তা উপরই নির্ভর করেন হাজার হাজার বাসিন্দা। যাত্রীবাহী ট্রেকার, ভুটভুটি গুলির অবস্থা এমনই যে অধিকাংশ সময়ই স্থানীয় মানুষকে যেতে হয় ছাদে উঠে কিংবা ঝুলে। কিন্তু এই খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ছাদ বোঝাই ট্রেকারে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    আনোয়ার হোসেন আরো জানান প্রতিদিন দেবিগঞ্জ থেকে মোটর বাইকে করে কনুয়া বাজার যেতে হয়। সে যেন বিভীষিকা। রাস্তায় অসংখ্য গর্ত। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

    কনুয়া-দেবীগঞ্জ গামী প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করেছেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সামিউল ইসলাম।তিনি জানান, ‘‘রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদে আলোচনা করা হয়েছে। বর্ষার পরেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।