|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক : কলকাতা শহরে পুজোর দিনগুলিতে শহরে ১৬০০ বাস পথে নামবে। রাত্রিকালীন পরিষেবা ও লঞ্চের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরের নিজস্ব কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পুজোয় বাস, ট্রাম, জলপথে পুজো পরিক্রমার বিশেষ আয়োজন করেছে রাজ্যের পরিবহণ, জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন এবং সেচ ও জলপথ দপ্তর। বনেদি বাড়ির পুজো তো থাকছেই, থাকছে ইছামতীতে বিসর্জন দেখা। গত বছরের মতো এবারেও এক টিকিটে সারাদিন, বিভিন্ন জায়গায় পুজো দেখা যাবে। এই দিন পরিবহণ মন্ত্রী ‘পুজো পরিক্রমা ২০১৯’ পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই দর্শনার্থীদের জলপথ, বাস, ট্রামে পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। পুজো পরিক্রমার জন্য অনলাইনে বুকিং করা যাবে www.wbtc.com.in অথবা www.ctconlinebooking.in –এ।
একদিনের টিকিটে সারাদিন ভ্রমণের জন্য ভাড়া ১০০ টাকা। এই টিকিট আগাম সংগ্রহ করতে হবে পরিবহণ নিগমের বাস স্ট্যান্ডগুলি থেকে। এটি অনলাইনে বুক করা যাবে না। বিস্তারিত জানা যাবে ৯৮৩০১৭৭০০০ নম্বরে ফোন করে। এছাড়াও ০৩৩–২২১৩– ২২১২ / ২২১৩/ ২২১৪/ ২২১৫ এই নম্বরে। ০৩৩–২২৪৮–১৭৩১/১৭৩২, ০৩৩–২২৩৬–০৪৬৩ নম্বরেও জানা যাবে। চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত এই টিকিট প্রযোজ্য হবে। রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য। মন্ত্রী জানান, গত বছর কয়েক লক্ষ মানুষ পরিবহণ নিগমের বাস, ট্রাম ও জলযান ব্যবহার করেছিলেন। সরকারের আয় হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। এবার তাঁর আশা, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
মহালয়া থেকে শুরু হয়ে যাবে পুজো পরিক্রমা। ৬ থেকে ৮ লক্ষ দর্শনার্থী এবার সারা রাজ্যে পুজো দেখবেন। এর মধ্যে গ্রামের পুজো, বনেদি বাড়ির পুজোও রয়েছে। প্রত্যেক বাস, ট্রাম ও লঞ্চে থাকবেন যাত্রী সহায়ক। দর্শনার্থীদের সহযোগিতা করবেন। থাকছে প্রাথমিক চিকিৎসার সব সরঞ্জাম। এবারের আকর্ষণ হুগলীর বিশিষ্ট বাড়ির পুজো। নিউ টাউনে প্রবীণ নাগরিকদের আবাসন স্নেহদিয়ার পুজো। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম পুরুলিয়া, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, সিউড়ি, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম শহরে পুজো দেখার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া দামোদর ও কালনার গঙ্গায় বিসর্জন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে এই নিগম। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম দার্জিলিং, ডুয়ার্স, সিকিম, ভুটান, মালদা, বহরমপুর, শিলিগুড়ি ঘোরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। মাইথন, শান্তিনিকেতন, ঝাড়গ্রাম, দীঘা, মুকুটমণিপুরের জন্য দূরপাল্লার বাস পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।