পেশায় কাঠমিস্ত্রি এলাকায় পরিচিত ‘দি স্নেক ম্যান’ নামে

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিষধর সাপকে কে না ভয় পায়৷আর ওই সাপ যদি ঢুকে পড়ে আপনার বাড়িতে! কি করবেন? কারও বাড়িতে সাপ বা অন্য কোনও হিংস্র প্রাণী ঢুকে পড়লে সাধারণত বন দফতরের কর্মীরা তা উদ্ধার করে থাকেন৷ কিন্তু ধরুন তাদের আসতে অনেক টা সময় লাগবে৷ এই পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে স্নেক ম্যান৷ হুগলী এলাকায় স্নেক ম্যান বা স্নেক রেসকিউয়ার নামে পরিচিত মঙ্গল সাউ আসলে একজন কাঠ মিস্ত্রি৷ বিগত ছয়-সাত বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকেই বন্য প্রাণীদের সংরক্ষণের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে।বিষধর সাপ থেকে শুরু করে পথ কুকুর ও বন্য প্রাণীদের প্রতি উদার মানসিকতার নজির গড়েছেন আরামবাগের বাসিন্দা মঙ্গল সাউ ওরফে দি স্নেক ম্যান।ছোটবেলা থেকেই গরীব ঘরে মানুষ মঙ্গল সাউ। পেশায় তিনি একজন কাঠ মিস্ত্রি। তার দৈনিক আয় ৫০০ টাকা। সেই টাকার মধ্যে থেকেই প্রতিদিন ২০০ টাকা করে বাঁচিয়ে তিনি খরচ করেন বন্য প্রাণীদের জন্য। কোথাও কারও বাড়িতে বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছে৷তখন ওই বাড়ির সদস্যরা ও গ্রামবাসীরা ভয়ে রয়েছেন৷ তখনই ফোনের ঘণ্টি বাজতে থাকে দি স্নেক ম্যান এর।আর ছুটে সাপটিকে উদ্ধার করতে৷ স্নেক ম্যান মঙ্গল সাউ বলেন, ছোট থেকেই তিনি সাপ দেখে বড় হয়েছেন। সাপের ভয়ে অনেক মানুষ তাদের মেরে ফেলে। তার মনে প্রশ্ন জাগে,বিনা অপরাধে ওই বন্যকে কেন মরতে হচ্ছে৷ তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন আরামবাগের সমস্ত বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেবেন৷ যেমন ভাবনা তেমন কাজ৷ বছর ছয়েক ধরেএক হাজারেরও বেশি সাপ কে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি । সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছেন বন্যপ্রাণীরা কতটা পরিবেশ বান্ধব। সাপ উদ্ধারের পাশাপাশি বিভিন্ন আহত পথ কুকুরদের ও সেবা শুশ্রূষা করেন তিনি।এ কাজে সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী৷ অভাবের সংসার তবুও স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি৷