৫ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত গোটা জেলায় করা হচ্ছে ফায়ার সেফটি অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পইন

নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা দফতরের উদ্যোগে ৫ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত গোটা জেলায় করা হচ্ছে ফায়ার সেফটি অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পইন। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে সাধারণ মানুষকে আগুন থেকে সচেতনতা ও আগুন লেগে গেলে তার প্রাথমিক প্রক্রিয়া গুলি কিকি সেই বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নবদ্বীপ টোটো ইউনিয়নের সত্যনারায়ণ পুজোর অনুষ্ঠানে নবদ্বীপ দমকল বিভাগের তৎপরতায় সাধারণ মানুষকে দেওয়া হল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রশিক্ষণ শিবির। আগুন মানুষের সামাজিক জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আগুন ছাড়া যেমন মানুষের জীবন অচল ঠিক তেমনই একটু বিপদের জেরে আগুন থেকে হয়ে যেতে পারে মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা।গৃহস্ত বাড়িতে সবথেকে বেশি আগুন ব্যবহৃত হয় রান্নার কাজে। অতীতে মানুষেরা রান্না করতেন কাঠ-কয়লার উনুনে। তবে বর্তমানে মানুষ এলপিজি গ্যাসের আগুনেই রান্না করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বাড়ির মহিলারা বর্তমানে গ্যাসের ওভেনেই বাড়ির ভিতরে রান্না করেন। অনেক সময়ই এই রান্নার আগুন থেকে বিপদ লেগে যায়।অসাবধানতাবশত রান্নার গ্যাসের আগুন থেকে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। সেই কারণেই সাধারণ মানুষ বিশেষত বাড়ির মহিলাদের সতর্ক এবং প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিতেই নবদ্বীপ দমকল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজন করা হল এক প্রশিক্ষণ শিবিরের।দমকল বিভাগের আধিকারিক জে কে বর্মন ও তার সহকর্মীরা বড়াল ঘাট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পূর্ণরূপে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিলেন আগুন লেগে গেলে প্রাথমিক করণীয় গুলি কি কি। এছাড়াও দমকল বিভাগের কর্মীরা আগুন নেভানোর বিশেষ কিছু প্রক্রিয়া দেখালেন এই দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে।