|
---|
উজির আলী, নতুনগতি: ছেলেপুলেও নাই, রোঁজগার করার মতো কেউ নেই, তবুও চলছে নানি-নাতনির সংসার। সংসার চলে সাহায্যে আর ভিক্ষাবৃত্তিতে। তবে লকডাউনে তা স্থগিত। মালদহের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিহিপুর- রানীগঞ্জের সহেদা বেওয়া এখন দিশেহারা। পিতৃমাতৃ হারা একমাত্র যুবতী নাতনি কে নিয়ে চলছে তার জীবনাযাপন।
মেয়ে-জামাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি লালন-পালন করে চলেছেন নাতনিকে। এবর্ষে থাহাঘাটি হাইমাদ্রাসায় নবম শ্রেনীতে পাঠরত রয়েছে বলে জানা গেছে।
লকডাউন পূর্বে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলত সংসার । ভাইরাস আতঙ্ক ও লকডাউন সমর্থন করতে গিয়ে আর যাওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সহেদা বেওয়া।
তার ফাঁকে একশো দিনের এনআরএইজিসের ও কাজ করে এই ৬৪ বছর বয়সে। সহেদা বেওয়ার আক্ষেপ, বয়সের ভারে নুইয়ে পড়ছে শরীর তবুও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা। কবে পাব ভাতা?
স্থানীয় বাসিন্দা নুরসেদ আলী জানান, পরিবারটি চরম অনটনে চলছে, তার মধ্যে তাদের রেশন কার্ড নেই। তবে লকডাউনে সরকারের তরফে বিনামুল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশাসনের তরফে কূপন নিয়ে রেশন নিচ্ছে এখন। লকডাউন স্বাভাবিক হলে রেশক কার্ড হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসন।
পিতৃমাতৃহারা একমাত্র নাতনি সাবালিকা হচ্ছে। আরো দুশ্চিন্তায় ঘুম কেড়েছে নানির। একদিকে নাতনির পরবর্তী জীবন আর অন্যদিকে লকডাউনে আর্থিক অনটন গ্রাস করছে সহেদা বেওয়াকে।
সরকারি সাহায্যের আশায় পথ চেয়ে এখন নানি-নাতনি। সরকারি সাহায্য পেয়ে তাদের মুখে হাসি ফুঁটবে কি? সেদিকেই তাকিয়ে এখন নানি নাতনি সহ গোটা গ্রামবাসী।