এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর আর তাঁর ওপরই এবার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল

নিজস্ব সংবাদদাতা : এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। আর তাঁর ওপরই এবার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল। একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে সেই তৃণমূল কাউন্সিলরকে হামলার অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আনুমানিক রাত ১১.৪৫-এ। সূত্রের খবর, রবিবার নবদ্বীপ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ফাসিতলা এলাকায় আহত সেই তৃণমূল নেতার ওপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। সাংসদ সৌগত রায়ের  বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চলছিল বাড়ি ভাঙার কাজ। কারা বাড়ি ভাঙবে ? কারা বখরা পাবে ? এই নিয়ে গতকাল রাত থেকেই বেঁধেছে অশান্তি। সেই অশান্তি চরমে পৌঁছায় সোমবার সকালে। বিশাল চ্যাঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি তখন ফোন করেন ওসিকে। তারপরই বিশাল পুলিশবাহিনী আসে এলাকায়। সাংসদ সৌগত রায় একথা নিজেই জানান এবিপি আনন্দকে। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা একেবারেই অভিপ্রেত নয়। কেন সংঘর্ষ, কী বলছেন সৌগত

    সূত্রের খবর, তুমুল সংঘর্ষে ধারাল অস্ত্রের কোপে আহত হন ৮ জন। সংঘর্ষের অশান্তির আঁচ এখনও রয়েছে এলাকায়। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের সামনে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। সাধারণ পোশাকে পুলিসও মোতায়েন রয়েছে। ৪ জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। বখরা নিয়ে গণ্ডগোলের জের, মন্তব্য সাংসদ সৌগত রায়ের। জানা গিয়েছে, দুই দলের লোকজনই তৃণমূল কংগ্রসের সমর্থক। এই ঘটনার নিন্দা করে সাংসদ সৈগত রায় বলেন, শান্তিপূর্ণ পাড়ায় এটা কেন ঘটবে? বাড়ি ভাঙাই বন্ধ করা হোক। কেন অশান্তি?

    প্রশ্ন উঠছে, কাল রাত থেকেই অশান্তি চলছিল। ঢিল ছোড়া দূরত্বে সাংসদের বাড়ি। সেখানে কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। সূত্রের খবর, আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। কীভাবে আগে থেকে অস্ত্র মজুত হয় ?