|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, বাঁকুড়া:
সদ্য প্রয়াত মায়ের স্মৃতিতে নানা সমাজসেবা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে সামাজিক দায়বদ্ধতার বার্তা দিলেন প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মহান্তি। বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার কুসুমটিকরি উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মহান্তি তাঁর সদ্য প্রয়াত মা বীণাপাণি মহান্তির স্মৃতির উদ্দেশ্যে রক্তদান শিবির, দুঃস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরন প্রদান সহ নানা সমাজসেবা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করলেন। তাপসবাবুর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার জাম্বনি গ্রামে।তাপসবাবুর বাবা চিত্তরঞ্জন মহান্তি ছিলেন বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ থানার হলুদ কানালি উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন ছাত্রদরদী শিক্ষক। তাপসবাবুর বাবা প্রয়াত হয়েছেন অনেকদিন আগেই। তাপসবাবুর মা বীণাপাণি দেবী সম্প্রতি প্রয়াত হন। প্রয়াত মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের পাশাপাশি মায়ের স্মৃতিতে, এই করোনা আবহের মাঝেই, কিছু সামাজিক কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তাপসবাবু। তিনি তাঁর এই পরিকল্পনার কথা পরিবার পরিজনদের জানালে, তাঁর পরিবার-পরিজনসহ এলাকার ছাত্র-যুব থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ এই কর্মসূচিকে সফল করতে এগিয়ে আসেন।
তাপসবাবুর ভাইপো অঞ্জন মহান্তির রক্তদানের সমাজসেবা মূলক কর্মসূচির সূচনা হয়। শিবিরে তাপস বাবু নিজেও রক্ত দান করেন।তাঁর কন্যা ও বর্তমানে কলেজ ছাত্রী সুবর্না মহান্তিও রক্ত দান করেন।তাপসবাবু জানান জাম্বনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই রক্তদান শিবিরে মোট ৫৩ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন,যার মধ্যে মধ্যে ১০ জন রক্তদাতা তাঁর পরিবারের সদস্য-সদস্যা। এই কর্মকাণ্ডকে সফল করার জন্য তাপস বাবুর সহকর্মী অনিমেষ মিশ্র,অপূর্ব দাশ, শ্যামল গরাই এবং বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাধন মহান্তিসহ অনেকেই রক্ত দান করেন। রক্তদাতাদের মধ্য যেমন ছিলেন তাপস বাবুর প্রাক্তন ছাত্র,কলেজ পড়ুয়া তরুণ অরিজিৎ মাঝি, তেমনি ছিলেন গ্রামের বরিষ্ঠ নাগরিক অসিত হালদার। “রক্তদান জীবনদান” -এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাতৃবিয়োগে শোকোস্তব্ধ শিক্ষকের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে। ভুয়সী প্রশংসা সকলের.
তাপসবাবু আরোও জানান রক্ত দান কর্মসূচির পাশাপাশি চব্বিশ জন দুঃস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়েছে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে।