|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থল পরিবর্তন হল। আগামী ২৭ জুন মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে আসছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় জেলা কৃষি খামারের ‘মাটি তীর্থ কৃষি কথা’ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হবে। সেখানে পূর্ব বর্ধমান জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার কৃষকদের সম্মান প্রদান করা হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই সভাস্থল পরিবর্তন হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে, শহরের উপকন্ঠে গোদার মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হবে।সপ্তাহ খানেক ধরে ‘মাটি তীর্থ কৃষি কথা’র মাঠে মাঠ মেরামতির কাজ হয়। ঘাস ও জঙ্গল সাফাই, রাস্তা তৈরি, মঞ্চ— প্রস্তুতি সবই প্রায় শেষের দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, ‘‘গত পাঁচ দিন ধরে কাজ চলছিল। এখনও পর্যন্ত কম বেশি ৩০ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। কিন্তু সভাস্থল পরিবর্তন হওয়ায় সবই মাঠে মারা গেল। প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন আমাদের বলা হল ওই মাঠে সভা বাতিল। গোদার মাঠে সভা হবে। ওই মাঠ প্রস্তুত করতে হবে।’’তিন দিন আগে মুখমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সদলবলে মাঠ পরিদর্শন করেন। তারা সবুজ সংকেত দেওয়ার পর কাজের গতি বাড়ে। পাশাপাশি রাজনৈতিক সভার জন্যই সে দিন বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন মাঠ,কঙ্কালেশ্বরী কালীবাড়ির মাঠ,তালিতের সাই মাঠ ও স্পন্দন মাঠ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। ঠিক হয় দু’এক দিনের মধ্যেই মাঠ নির্বাচন করে সেখানে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হবে। ওই মঞ্চে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দলনেত্রী বৈঠক করবেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা দু’টির পরিবর্তে একটিই সভা হবে। রাজনৈতিক জনসভা আপাতত হচ্ছে না।জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, ‘‘আপাতত জেলায় একটিই সভা হবে মুখ্যমন্ত্রীর। সরকারি অনুষ্ঠান হবে। রাজনৈতিক জনসভা হচ্ছে না।’’ ২৯ জুন দুর্গাপুরে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দুই জেলা অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক হবে। গোদার মাঠে সভা হবে দুপুর আড়াইটেয়। সন্ধ্যায় মাঠ পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত (সাধারণ) জেলাশাসক সুপ্রিয় অধিকারী।বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, ‘‘তুঘলকি কাণ্ড চলছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে সভা করার জন্য। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র টাকা দেবে রাজ্য সরকার মোচ্ছব করবে।’’