স্কুল নির্মাণের টাকা ফেরত যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে স্কুল পরিদর্শকের দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা : স্কুল নির্মাণের (Construction of School) টাকা ফেরত যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়াল মালদায় (Malda News)। স্কুল পরিদর্শকের দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। টাকা ফেরত পাঠানো চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন। তা নিয়ে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজাও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে (Lakhir Bhandar) টাকা ঢালতে গিয়ে শিক্ষাখাতে ভাঁড়াj শূন্য বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।মালদার হরিশচন্দ্রপুর এলাকার ঘটনা। সেখানকার ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর ডোহরা এলাকায় একটি জুনিয়র হাইস্কুল নির্মাণের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সম্প্রতি। তা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। স্কুল তৈরির টাকা কিছুতেই ফেরত পাঠানো যাবে না বলে দাবি তুলেছেন তাঁরা।স্থানীয়দের দাবি, কথা মতো ওই এলাকায় স্কুল তৈরি করতে হবে। সেই দাবি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শককে ঘেরাও করেন সকলে। অবিলম্বে ওই এলাকার স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন। পরিদর্শক তারক মণ্ডল জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের দাবি-দাোয়া শুনেছেন তিনি। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন অবিলম্বে

    বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সুলতান নগর অঞ্চলের এই অংশে কোনও জুনিয়র হাইস্কুলও নেই। তাই স্কুল নির্মাণ করতেই হবে, টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।এই ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) তীব্র কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপি সম্পাদক কিষান কেডিয়া। তিনি বলেন, ‘‘লক্ষীর ভান্ডার-সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্য সরকারের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই টাকার জোগান ঠিক রাখতে স্কুলের টাকাও ফেরত যাচ্ছে।’’কিন্তু বিজেপি-র অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান। তিনি বলেন, ‘‘টাকা ফেরত যাওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। ওই এলাকায় যাতে স্কুল নির্মাণ হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’