|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- ২ দিনের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে রামপুরহাটের (Rampurhat) বকটুই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। রাতের আগুনে প্রাণ খোয়ালেন নব দম্পতি (Newly Married Couple)। কী দোষ ছিল ছেলে-বৌমার? কেন এভাবে মরতে হল? বিচার চাইছে পরিবার। ‘ভাই আমাকে বাঁচা। এই গ্রামে একটা মার্ডার হয়ে গেছে। এখানের অবস্থা খুব খারাপ। কীভাবে এখান থেকে উদ্ধার হব? সোমবার ঘড়িতে তখন রাত ৯ টা, রামপুরহাটের (Rampurhat) বকটুই গ্রাম থেকে ফোন করে নাকি এমনটাই বলেছিলেন নানুরের (Nanur) বাসিন্দা সাজিদুর রহমান। কিন্তু, শেষ অবধি সাজিদুরকে বাঁচানো যায়নি। মাত্র ২ দিনের জন্য শ্বশুরবাড়িতে এসে বেঘোরে চলে গেল প্রাণটা। মৃত সাজিদুর রহমানের মা নুরনেহার বিবি বলছেন, ছেলে কোনও দোষ করেনি। আমার ছেলে আর ওদের একটা ঘরে বন্ধ করে মেরেছে। আমি শাস্তি চাই। ফাঁসি চাই। বীরভূমের ভয়ঙ্কর হত্যালীলা ঘিরে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন। জীবন্ত দগ্ধ আট আটটা প্রাণ! জানুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল।ক’টা দিনের ছুটি পেয়েছিলেন স্থানীয় মাদ্রাসায় কাজ করা বছর ৩০-এর সাজিদুর রহমান। স্ত্রী লিলি খাতুনকে নিয়ে বকটুই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন ছুটি কাটাতে। আগুনে যখন জ্বলছে বকটুই গ্রাম, তখন সাজিদুর-লিলিরা ছিলেন সেখানেই। কথা ছিল বুধবার নানুরের দান্যপাড়ার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ! মৃতের বাবা কাজী নুরুল জামান জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে কথা হয় দুপুরে, শান্তি চাই। ছেলে বৌমার মৃতদেহ যেন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক। সজল চোখে এখন ছেলে-বৌমার মৃতদেহ ফেরার অপেক্ষায় পরিবার।