শীতের সাথে সাথেই সুন্দরবনে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা

বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলী, দঃ ২৪ পরগণা :
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের সুন্দরবনে আসার প্রবণতা ততই বাড়ছে। জীব বৈচিত্র্যের লীলাভূমি সুন্দরী, গরান, গেও এ ঘেরা অরণ্য সুন্দরী সুন্দরবন। যার মাঝে আছে বিশ্ব বন্দিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যার টানে দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসে পর্যটক। আর যদি ভাগ্যক্রমে একবার তার দেখা মিলে যায়, তবে সুন্দরবন যাওয়া সার্থক। আর তার দেখা না পেলে বা পেলেও আবারও তার টানে পর্যটক ভীড় জমায় সুন্দরবনের বুকে। শুধু কি বাঘ! জলে দেখা মিলতে পারে বিশাল আকারে কুমিরের, নদীর তীরে জল খেতে আসা অনিন্দ্য সুন্দর হরিণ থেকে শুরু করে একাধিক বন্যপ্রাণীর। পাশাপশি শীতের মরশুমে দিনের পর দিন বাড়ছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যাও। অপরদিকে শহরে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে দূষণ। প্রতিনিয়ত কর্মব্যস্ততার মাঝে বিভিন্ন যানবাহনের আওয়াজ সাথে বাড়ছে দুশ্চিন্তা, তৈরি হচ্ছে বিষণ্ণতা। এর হাত থেকে রেহাই পেতে দূষণমুক্ত প্রাকৃতিক মনোরম ম্যানগ্রোভের গভীর অরণ্যে, নদী, খাল-বিলে ভরা এক টুকরো সুন্দরবন দেয় নতুন করে বাঁচার রসদ। আর সুন্দর কিছু দেখার প্রবণতা কার নেই! তাহলে একটু অবসরে বেড়িয়ে আসাই যায় সুন্দরবন। তাই সুন্দরবনের বিভিন্ন বিট অফিসে থেকে বৈধ কাগজ নিয়ে একের পর এক ছোট বড় জলযান নিয়ে পর্যটক বেরিয়ে পড়ছেন বিভিন্ন ক্যাম্পে। রাত কাটাচ্ছেন হয় নদীর বুকে বা নদীর তীরে কোন ছোট জনপদে হোটেল রিসোর্টে। নদীর বুকে ঘুরতে ঘুরতে পর্যটকদের সম্মুক্ষে আসছে জেলেদের ছোট্ট ডিঙ্গি, নৌকা। যা নিয়ে মাছ, কাঁকড়া কিম্বা মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সুন্দরবনের বাসিন্দারা। তাই নোনা জলের সিক্ত সোঁদা গন্ধ মিশ্রিত বাতাস নেওয়ার লক্ষ্যে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে সুন্দরবনে।