পুজোতে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য যথেষ্ট সচেতন পুলিশ প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা : পুজোর বাকি নেই আর এক মাসও। হাতে গোনা কয়েকটা সপ্তাহ আর তারপরেই বাঙালির প্রাণপ্রিয় দুর্গাপুজো। যার কারণে শহর থেকে শুরু করে শহরতলিতে এখন সাজো সাজো রব । একদিকে যেমন রাস্তাঘাট আলোয় সেজে উঠেছে তেমনি মণ্ডপ গুলিতেও কাজ চলছে । কারণ পুজো শুরু হলেই তো রাতভর ঘোরাঘুরি সহ মণ্ডপ পরিদর্শন। আর সেই সময়ে যাতে জনসাধারণকে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় বা কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথেষ্ট সচেতন পুলিশ প্রশাসন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে তাই বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বড় রাস্তা এবং জনসমাগম পূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা তো থাকবেই একইসঙ্গে পুজোর জন্য আলাদা করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। শহরের আনাচে-কানাচে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখানে এখনও পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা নেই কিংবা কম রয়েছে সেখানে বাড়তি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বড় বড় মণ্ডপের ভেতরে এবং বাইরে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার মাধ্যমে চারিদিকে চলবে নজরদারি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের পুজোয় উত্তরপাড়া, ডানকুনি ,শ্রীরামপুর থেকে চুঁচুড়া প্রায় সব জায়গাতেই নিরাপত্তায় ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হয়েছে।

    শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েই দায়িত্ব সারছে না পুলিশ প্রশাসন। জানা গেল উৎসবের দিনগুলিতে শহরবাসীর নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। যেমন হুগলির প্রায় সব জায়গাতেই ইভটিজিং ও ছিনতাই এর ঘটনা আটকাতে তৎপর থাকবে অ্যান্টি টিজিং টিম এবং অ্যান্টি ক্রাইম টিম । এছাড়াও অপরাধ দমন করার জন্য নিয়মিত মনিটরিং চলবে। যেখানেই কোনরকম অশান্তি কিংবা উৎশৃঙ্খলা দেখা যাবে সেখানেই উপস্থিত হবে কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনী। দিন কতক পূর্বে বর্ধমান জেলাকেও সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। যাতে নজরদারিতে কোনোরকম গাফিলতি না থাকে তার জন্য নতুন মনিটোরিং সিস্টেম উদ্বোধন করা হয়েছে বলেও খবর।