খাতড়া-মুকুটমণিপুর রাস্তায় বাগজোবড়া রাস্তার ধারে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:-এক সপ্তাহের মধ্যে বাঁকুড়ার (Bankura) ব্যবসায়ী খুনের (Murder) ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লালগাড়ির সূত্র ধরে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। আর্থিক লেনদেনের জেরে এই খুন বলে দাবি পুলিশের।রবিবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে রাস্তায় ধারে ঝোপের মধ্যে সোনা ও রুপো ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত ২৩ জুলাই বাঁকুড়া থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই ব্যবসায়ী। ওই দিন বাঁকুড়ায় ব্যবসায়ীর বাইক পাওয়া গেলেও, তাঁর খোঁজ মেলেনি। এরপর রবিবার সকালে খাতড়া-মুকুটমণিপুর রাস্তায় বাগজোবড়া রাস্তার ধারে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, ওই মৃতদেহ নিখোঁজ ব্যবসায়ী শুভঙ্কর দে(৩৬)-র। পরিবারের ধারণা, ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এক সপ্তাহের মধ্যে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।বাঁকুড়া শহরের ইন্দারাগোড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর দে। গত ২৩ জুলাই কাজ সেরে শীঘ্রই ফেরার কথা জানিয়ে বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ওই যুবক। এরপরে পরিবারের লোকজন ফোন করলে মোবাইলের সুইচ অফ পান। দীর্ঘ সময় পরে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকের সন্দেহ হয়। পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে ঘটনার কথা জানিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। এরপরে বাঁকুড়া শহরের কলেজ মোড়ের রাস্তায় উদ্ধার হয় ওই যুবকের বাইক। রবিবার বাঁকুড়ার খাতড়া থানার পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে মুকুটমণিপুর লাগোয়া বাগজোবড়া এলাকার রাস্তার ধারে ঝোপ থেকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই মৃতদেহ শনাক্ত করে শুভঙ্করের পরিবার। পরিবারের দাবি, ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে শুভঙ্করকে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। খাতড়ার এসডিপিও এর নেতৃত্বে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। যেখান থেকে বাইক উদ্ধার হয় সেখান থেকে ২৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে সিসিটিভিতে গাড়ির নজরদারি শুরু করে তদন্তকারী দল। সিসিটিভির সৌজন্যে এক লালগাড়ির হদিস পায় পুলিশ।এরপরে তদন্তকারী পুলিশ শুভঙ্করের বন্ধুদের কার লাল গাড়ি রয়েছে সেই খোঁজ শুরু করে। শুভঙ্করের বাঁকুড়া শহরে একটি বন্ধুর খোঁজ পাওয়া যায়, যার লাল গাড়ি রয়েছে। ওই বন্ধুর মোবাইলের গতিবিধি জানার পরে সন্দেহ ঘনীভূত হয় পুলিশের। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার লালবাজার থেকে  জাকির ইকবাল খিলজি নামে শুভঙ্করের বন্ধুকে আটক করে খাতড়া থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় খুনের কথা শিকার করেছে সে, এমনই দাবি পুলিশের। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গাড়ি করে তুলে নিয়ে গিয়ে বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে ফেলে দেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। এই খুনের পিছনে আর্থিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করতে চায় তারা। লালগাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।