|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের টিয়াপাখি উদ্ধার করল বনদফতর। উদ্ধার হল প্রায় ১৮২ টি টিয়াপাখি, গ্রেফতার দুই পাচারকারী। বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় টিয়াপাখিগুলি। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে থামতেই রেল পুলিশের উপস্থিতিতে তল্লাশি শুরু করে বনদফতরের কর্মীরা। ট্রেন থেকে ব্যাগ সমেত দু’জনকে নামতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালান তাঁরা। এরপরই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ১৮২ টি টিয়াপাখি। গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। বনদফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে , ধৃতদের নাম মহম্মদ আয়ূব ও ইব্রাহিম সেখ।
ধৃতদের বাড়ি দুবরাজদিঘি আলুডাঙ্গা এলাকায়। বিহারের দানাপুর থেকে টিয়াপাখিগুলি বর্ধমানে নিয়ে আসার পর সেগুলিকে আবার অন্যত্র পাঠানো হত বলে বনদফতরের কর্মীদের অনুমান। জানা গিয়েছে, ধৃতরা দীর্ঘদিন থেকে এই পাখি পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে বনদপ্তর জানতে পেরেছে দানাপুর থেকে এই পাখিগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। পাখি উদ্ধারের পর সেগুলোকে বর্ধমান জেলার রমনা বাগান ফরেস্টে নিয়ে আসা হয়।
বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাস বলেন, পখিগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের মুক্ত করে দেওয়া হবে। ধৃত দুই ব্যক্তিকে বন্য প্রাণ সংরক্ষণ আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নয়। চলতি বছরে এরআগেও টিয়া পাখি পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল একজন। তখনও বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় ১৯৪টি টিয়া পাখির বাচ্চা।
হাওড়া ডিভিশনের ক্রাইম প্রোটেকশন অ্যান্ড ডিটেকশন স্কোয়াডের একটি টিম, আরপিএফ ইন্সপেক্টর শৈলেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে, বর্ধমান রেল স্টেশনের চার ও পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে তল্লাশি চালানোর সময় দুটি বড় নাইলনের ব্যাগ হাতে এক ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটক করে। ব্যাগ দুটি তল্লাশি করলে তার ভিতরে দুটি খাঁচায় মোট ১৯৪ টি টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার হয়। এভাবে বার বার টিয়া পাখি উদ্ধার হওয়ায় বর্ধমান স্টেশন চত্বরে বেড়েছে তল্লাশি অভিযানের পরিমাণ। সতর্ক রয়েছে বন দফতরের আধিকারিকরা।